শুনানি শেষে আদালত অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অভিযোগে ফারজানা রশিদ ব্রাউনিয়া বলেন, চ্যানেল আইয়ের বিপণন ব্যবস্থাপক (ইভেন্ট) পদে ১০ লাখ টাকা বেতন নির্ধারণ করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি ২০১৪ সাল থেকে চ্যানেল আইয়ে ‘স্বর্ণ কিশোরী’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে আসছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কর্তৃপক্ষ কোনো নোটিশ ছাড়াই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের হোস্ট হিসেবে ফারজানা রশিদ ব্রাউনিয়ার সম্মানী প্রদানও স্থগিত করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, চ্যানেল আইকে একাধিকবার বিষয়টি জানালে আমাকে বলা হয় বকেয়া ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে। পরে আমি বকেয়া টাকা চাইতে গেলে কয়েকজন আসামি আমাকে অবরুদ্ধ করে, চাঁদা হিসেবে ৫০ কোটি টাকা দাবি করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ফারজানার অভিযোগ, শাইখ সিরাজ শেখ হাসিনার নির্দেশে কিশোরীদের প্রাণের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। ফলে পুষ্টি এবং শিক্ষায় পিছিয়ে পরে একটি জনগোষ্ঠী। এ ঘটনায় শাইখ সিরাজ ছাড়াও চার আওয়ামী লীগের নেতাকে আসামি করা হয়।
আরোও পড়ুনঃ মাহফুজকে বিশ্বমঞ্চে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন