আইনগত ব্যবস্থা

বায়তুল মোকাররমের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায়  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজে ইমামতি করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় মসজিদে এ ধরনের হামলা ও ক্ষতিসাধনের ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমানে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। পরে বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন।

তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে করে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। পরে পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে পরিবেশ শান্ত হলে আবারও সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে লাপাত্তা ছিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। পরবর্তীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নতুন খতিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন। সে কারণে নামাজ পড়ানোর জন্য নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরোও পড়ূনঃ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজি না হওয়ায় ধূলিয়া-১ লঞ্চে যাত্রী লাঞ্চিত করার অভিযোগ

Check Also

র‍্যাব

ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি র‍্যাবঃ ফেরদৌস

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর র‌্যাব কখনোই প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছেন বাহিনীর আইন …