শামসুল ইসলাম সনেটঃ ‘আহা আজি এ বসন্তে, এতো ফুল ফুল ফুটে, এতো বাঁশি বাজে, এতো পাখি গায়, আজি এ বসন্তে’। জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের এই বিখ্যাত গানটি মনে করিয়ে দেয় বসন্ত আসছে বাঙালির হৃদয় রাঙাতে। নতুন যুগেও বসন্তকে নিয়ে রয়েছে গান, কবিতা আর ছন্দ।
‘বসন্ত আসিল মনে, ফুলেরা ফুটিল বনে, পাখিদের গুঞ্জরণে মাতাল সম্মিলন, বল কার লাগিয়া পড়াও তুমি সাধের বিন্দাবন’। বসন্ত বাসে সই গো বসন্ত বাতাসে ইত্যাদি গানগুলো শুনলেই মনে দোলা দেয়। বসন্তের আগমনে সেই কালজয়ী গানগুলো এখন আকাশে বাতাসে দোলা দেয়।
দীর্ঘ একটি বছর প্রতীক্ষার পর সবাই সাদরে বরণ করে ঋতুরাজ বসন্তকে। সেই খুশিতে গাছের শাখে শাখে ফুটছে হরেক রকম ফুল। ফুলের বাগান, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজের আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমসসহ নানান ফুল। আমগাছে এসেছে মুকুল। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়াসহ ফাগুনের নানান ফুলের কলিরও উকি মারছে।
শীতে ঝরে পড়া পাতার ফাঁকা জায়গা পূরণ করতে গাছে গাছে গজাতে শুরু করেছে নতুন পাতা। “বছর ঘুরে আবার এলো ঋতুর রাজা বসন্ত, রমনীদের হলুদ সাজে প্রকৃতি হাসে অন্ত” ষড়ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রঙতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। যুগে যুগে কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেনি। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না। বাঙলির ইতিহাস আবেগের। এই আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও। দিন-ক্ষণ গুণে গুণে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে ধুম আয়োজন। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা। বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা করা হয় মেলার আয়োজন, সার্কাসসহ নানা দেশীয় আয়োজনের সমারোহ থাকে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তি রঙে।
শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। তরুণীরা বাসন্তি রঙয়ের শাড়ি পরে প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দিতে চায়। আর বসন্তের উদাস হাওয়ায় তরুণরা নিজেকে প্রকাশ করবে প্রেমে প্রেমে। বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা। বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি ও প্রাণ, ফাগুনের আগুনে আনন্দে আর উৎসবে বেঁচে থাকুক বাঙালী ও তার মান।
I’m really impressed with your writing skills as well
as with the layout on your blog. Is this a paid theme or did you modify it yourself?
Either way keep up the nice quality writing, it’s rare to see a great blog like this
one these days.
I used to be recommended this web site by way of my cousin. I am not sure
whether or not this put up is written by means of him as no one else recognize
such distinct about my trouble. You’re amazing! Thanks!