অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংকসহ আর্থিক খাত সংস্কার এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সফররত আইএমএফ আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এদিন সকালে সচিবালয়ে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে’সহ নয় সদস্যের প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকার চায় নিজস্ব রিসোর্স ব্যবহার করে অর্থনৈতিক খাতে এগিয়ে যেতে। তবে, আইএমএফ বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। তাই তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায় সরকার।শুধু আইএমএফ নয়, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গেও সংস্কার নিয়ে একই রকম আলোচনা হবে।
অর্থ উপদেষ্টা আরোও বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের দল আছে। বিশদ আলাপ করে তারা নিজস্ব চিন্তার বিষয়ে জানাবে। তারপর অক্টোবর মাসে আমরা বিশ্ব ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় যাব, সেখানে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। বর্তমান ঋণ কর্মসূচি নিয়েও আলাপ হবে। ভবিষ্যতের জন্যও আমরা কিছু অনুরোধ করেছি।’
আইএমএফের কাছে কী চেয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন বলেন, কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে—ব্যাংক খাত সংস্কার, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, কর ব্যবস্থাপনা, আয়কর ও ভ্যাট সংস্কারের জন্য। শুধু আইএমএফ নয়, অন্যদের কাছেও সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কারা কী সাহায্য করবে, সেটা সমন্বয় করে আইএমএফকে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হবে। তাদের কাছ থেকে কী সাহায্য দরকার, তা–ও বলা হবে।
আইএমএফের প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার ঢাকায় এসেছে। আজ তারা প্রথম বৈঠক করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে তারা।