র‍্যাব

ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি র‍্যাবঃ ফেরদৌস

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর র‌্যাব কখনোই প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেনি বলে দাবি করেছেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি বলেন, র‍্যাব ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।

রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

পুলিশের ৯০ জনের বেশি কর্মকর্তা এজাহারভূক্ত আসামি। র‍্যাবের মধ্যে এমন কেউ আসামি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের র‍্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি। অন্যান্য বাহিনীতে হলেও র‍্যাবের কোনো সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি।

র‍্যাবে ৮টি বাহিনী থেকে সদস্য আসে। র‍্যাবের ১০ হাজার সদস্যের মধ্যে প্রায় ৪৪ ভাগ পুলিশ বাহিনী থেকে এসেছে। র‍্যাবে কোনো সমস্যা ছিলো না। ছাত্র জনতার ওপর র‍্যাব কখনোই মারণাস্ত্রের গুলি ব্যবহার করেনি। আমরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। এবং অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করে যাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলণে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে র‍্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ আগস্ট পরে এখন পর্যন্ত র‍্যাব এক হাজার ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এর মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ৩৯ জন রয়েছেন। পাশাপাশি অস্ত্র হাতে ছাত্র জনতার ওপর গুলির ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে করে উচ্চ পর্যায়ের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

এছাড়া আমরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছি। র‍্যাবের কাছে কেউ যদি কোনো তথ্য পায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। র‍্যাব সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে।

ওবায়দুল কাদের, নানক ও ডিবির হারনের মতো বিতর্কিতদের গ্রেপ্তারের বিষয় মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের বিষয় আমাদের কাজ চলছে। তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।

আরোও পড়ুনঃ নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ হবে তিন মাস পরঃ মাহফুজ আলম

Check Also

ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। …