কেরানীগঞ্জে ব্যাংক লোন ও ঋনের টাকার বোঝা সইতে না পেরে এক সনাতন ধর্মালম্বীর আত্মহত্যা

ব্যাংক লোন ও কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে নিজ দোকানে ফ্যানের সাথে দুই সন্তানের জনক সনাতন ধর্মালম্বী শ্রী সুব্রত বর্মন ওরফে সাধু বর্মন (৪৭) নামের এক ব্যাক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধিন জিনজিরা ইউনিয়নের মানদাঈল বর্মন পাড়া এলাকায়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
জানাযায়, মানদাঈল বর্মন পাড়া এলাকার মৃত গোপাল বর্মনের ছেলে সাধু বর্মন নিজ বাড়িতে একচি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। সংসার জীবনে সে দুই কন্যা সন্তানের জনক। মুদি ব্যবসার পাশাপাশি সাধু বর্মন বন্ধুদেও সাথে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ছয় বন্ধু মিলে নিজেরা একটি ক্ষুদ্র ঋৃনের কিস্তি চালু করেন। সে ক্ষুদ্র ঋৃন থেকে মানুষকে কিস্তির মাধ্যমে টাকা দেওয়া হতো এবং মানুষের টাকা সঞ্চয় জিহসাবে রাখা হতো। এক পর্যায়ে সাধু বর্মনকে ব্যাংকের লোন ও মানুষের গচ্ছিত সঞ্চয়ের টাকা বোঝা চাপিয়ে তার বন্ধুরা সটকে পড়ে। পারিবারিক সুত্রে জানাযায়,সাধু বর্মন এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত নানা ধরনের চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার সকালে যে কোন সময়ে একটি চিরকুট লিখে নিজ দোকানে ফ্যানের সাথে প্লাষ্টিকের রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। চিরকুটে লিখাছিল আমার মৃত্যুর পর যে এই কাগজটি দেখবেন। তাদেও উদেশে বলছি, আপমার দুইটি কন্যা সন্তান-স্ত্রী ও মা রয়েছে। আপনারা তাদের একটু দেখবেন। আমরা বন্ধুরা মিলে যে কিস্তি চালু করেছিলাম তা সব টাকা রিপন নামের এক বন্ধুর কাছে রয়েছে। আপনারা তার কাছ থেকে সে টাকা উদ্ধার করে আমার ব্যাংক লোন ও গরীব মানুষের গচ্ছিত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম জানান, লোক মুখে আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যাক্তি গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন। তা থেকে ধারনা করা যায় নিহত সাধু বর্মন ঋৃনগ্রস্থ ছিলেন। ঋৃনের বোজা সহ্য করতে না পেওে সে অত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। সে এ কাজটি না করে পাওনা ধারের কাছে সময় নিয়ে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করতে পারতেন। এ ব্যাপাওে নিহতের মা বিন্দু রানী বর্মন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

Check Also

কেরানীগঞ্জে চারতলা ভবন থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

কেরানীগঞ্জে চারতলা ভবন থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বনগ্রামে নিজ বাড়ির চতুর্থ তলার বেলকনি থেকে পড়ে তাহমিনা (৩৫) নামে এক নারীর …