ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নে অবৈধ পানির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার সময় পূর্ব ঈমাম বারিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ৩টি কারখানা সিলগালা করা হয় এবং কারখানাগুলোতে মালিক না থাকায় ২টি কারখানার ২জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঃ মোঃ মনির (৪৩), মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৮)। পরে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মনির হোসেনকে ৭ দিনের সাজা ও আনোয়ার হোসেনকে ১৫ দিনের সাজা প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত। এরপর দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ সাজা প্রাপ্তদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার,কেরানীগঞ্জে পৌছে দেন। ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত দেবনাথ ।
কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা যায় মটরের সাহায্যে মাটির গভীর থেকে পানি উঠিয়ে ফিল্টারিং ছাড়াই সরাসরি বোতলজাত করা হচ্ছে। কোন কারখানাতেই পানি ফিল্টার করার সয়ংক্রিয় যন্ত্র নেই। প্রতিটি কারখানার পরিবেশ ই খুবই অস্বাস্থ্যকর। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি বোতলজাত করার কারনে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পরতে পারে যে কোন সময়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত দেবনাথ বলেন, এ সকল পানি ব্যাবসায়ীরা একসাথে ২টি অপরাধ করছে, প্রথমে মূলত গ্রাহকদের ফিল্টার করে পানি না দিয়ে প্রতারনা করছে । অন্য দিকে অনিরাপদ পানি দেওয়ার কারনে অনেককে নানাবিধ পানিবাহী রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কেরানীগঞ্জের প্রতিটি কারখানা মালিকের উদ্দেশ্য বলছি, সবাই নিয়ম নীতি মেনে ব্যবসা করেন। আপনাদের অব্যস্থাপনায় আর কোন পরিবারের মুখের হাসি যেন কেরে না নেয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আজকে আগানগর ইউনিয়নের অবৈধ পানির কারখানা গুলো সিলগালা করে দিয়ে গেলাম। অবৈধ এ সব কল কারখানার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে #
আরো পড়ুন,মাটি খেকোদের কারনে বেহাল অবস্থা কলাতিয়ার রাস্তাঘাট ও ফুটওভার ব্রীজের