বর্ষাকালের মৌসুম চলছে এখন। র্বষাকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভড়ে ওঠে আমাদের আশেপাশের সকল নদী,নালা। ঠিক তেমনি বুড়িগঙ্গা নদী ভরে ফিরে পেয়েছে তার হারানো যৌবন।
বুড়িগঙ্গা মেতে উঠেছে তার পূ্র্ন রুপে। আর থৈ থৈ করে যেন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে নদীর পানির পরিমান। যে নদীতে আগে ভাসতো কল-কারখানার ময়লা আর্বজনা সে নদীতে এখন ভাসছে কচুরিপানা। মাঝিরাও এখন আনন্দের সাথে নৌকা চালাচ্ছে।
মোঃ রহিম নামের এক মাঝির সাথে কথা বলে যানা যায় যে নৌকা চালাতে গিয়ে মাঝিরা এখন প্রশান্তি অনুভব করে। নদীর পানি ভালো হওয়াতে এখন প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা নৌকা নিয়ে ঘুরতে আসে। আর মাঝিরা এমন বড় ট্রিপ মারতে পেরে খুব আনন্দিত কারন এর ফলে তারা অধিক পরিমাণ এ নগদ অর্থ উপার্জন করতে পারচ্ছে।
সরোজমিন এ গিয়ে দেখা যায় থই থই করছে বুড়িগঙ্গার পানি। নদীর চারপাশে স্বচ্ছ পানির এমন চিএ দেখে মনে হল যে নদী তার হারানো পূর্ন রূপ এ ফিরেছে।
বাবুবাজার ব্রিজের নিচে সজিব নামের এক কিশোরকে মাছ ধরতে দেখা গেল। সে এখন প্রতিনিয়ত মাছ ধরে। নদীর পানি ভাল হওয়ায় জাল দিয়ে মোটামুটি ভাল পরিমান মাছ ই ধরছে সে।
জিঞ্জিরার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আনমোল সোয়ারী ঘাট দিয়ে পার হবার সময় যানায় নদীর পানি এখন আগের চেয়ে খুব ভালো ।আগে পারাপার হওয়ার সময় মুখে কাপর দিয়ে তারপর যেতে হত, কিন্তু এখন আর মুখে কাপড় দিয়ে নাক ধরে যেতে হয় না।
পরিব্রাজক দলের সভাপতি মনির হোসেন জানায়, নদী তার আপন গতিতে চলতে থাকে। কারো ইচ্ছায় নদী চলেনা। নদী তার নিজ সত্যায় চলতে থাকে।এখন বর্ষা মৌসুমের জন্য নদীতে নতুন পানি অাসায় স্বচ্ছ দেখায়। তবে যখন পানি কমতে থাকে তখন নদী নেয় তার ভিন্ন রূপ। দুর্গন্ধ ও কালো পচা পানিতে পরিনত হয় তখন। নদীতে কলকারখানা কালো বিশাক্ত পানি গুলো কোনরকম পরিশোধিত না করে ফেলা হয়। সিটিকর্পোরেশনের ময়লা অাবর্জনাগুলো পয়োনিষ্কাশন না করে ফেলায় নদীর রুপ হয়ে যায় অারো বেশি ভয়ানক।
নদীতে লঞ্চগুলোর পোড়া মোবিলের কারনে সব চাইতে বেশি দূষিত হয় পানি। এছারা কেরানীগঞ্জের জিন্স প্যান্ট এর কেমিক্যেলের রঙ নদীতে ফেলায় অারো বেশি খারাপ হয়ে যায়।তাই সরকারের উচিত খুব দ্রুত নদীকে নিয়ে মহা পরিকল্পনা করা।এতে করে নদীকে বাচানো সম্ভব হবে। তা না হলে খুব অচিরে একদিন হারিয়ে যাবে নদী।
মো: ওয়ালিদ হোসেন ফাহিম
নিউজ ঢাকা ২৪ ডটকম।