হ্নীলা-বাহারছড়া পাহাড়ি সংযোগ সড়ক নির্মাণে যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষায় যে ভূমিকা রাখতে পারে!

আজিজ উল্লাহ, উপকূলীয় প্রতিনিধি:

টেকনাফের বাহারছড়া ও হ্নীলা ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগের সহজ উপায় এবং অর্থনীতির পাশাপাশি
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় হ্নীলা- বাহারছড়া পাহাড়ি সংযোগ সড়ক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখতে পারে। তাই দীর্ঘদিন বন্ধ এই পুরনো সড়কটি নির্মাণ অতি জরুরি হয়ে পড়ছে।

গত, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আজ অবধি মিয়ানমারে আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ চলছে। এতে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জন্য সবসময়ই হুমকি এই মিয়ানমার। কোন সময় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে এমন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সীমান্ত এলাকায় রসদ সরবরাহে এই বন্ধ সড়কটি ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই। মেরিনড্রাইভ সড়কের পাশাপাশি হ্নীলা-বাহারছড়া ইউপিরস্থ জাহাজপুরা পাহাড়ি সংযোগ সড়কটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অনেকটা গুরুত্ব বহন করে। সুবিধা হচ্ছে এই সংযোগ সড়কের হ্নীলা অংশের কিছু জায়গায় পুরনো ইট সলিন রয়েছে। প্রায় ৫ কিলোমিটারের এই রাস্তাটি পাহাড় বেয়ে আসলেও রাস্তার প্রায় অংশ পাহাড়ের ঢালসহ মোটামুটি প্রস্থ সমতল রয়েছে। এতে নির্মাণে তেমন অসুবিধা পোহাতে হবে না। যেহেতু পুরনো রাস্তা তাই পরিবেশের ক্ষতির সম্ভবনা নেই। সড়কটি নির্মাণ হলে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন পাহাড়ি মুক্তিপণ বাণিজ্যে গোষ্ঠীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। রাস্তাটি তৈরি হলে সেখানে প্রশাসনের সহজে যাতায়াতের সুবিধা হবে। এতে করে পাহাড়ের ডাকাত চক্রসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে সহজে অভিযান পরিচালনা করাও সহজ হবে।
শুধু তা নয় বাহারছড়ার মানুষের আদিম পেশা সাগরে মাছ শিকার করা। সেই মাছের কিছু অংশ সহজে ঢালা পথ ধরে হ্নীলায় বাণিজ্যিকভাবে পরিবহন করে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এবং হোয়াইক্যং-হ্নীলা ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ অন্যতম মাধ্যম এই সড়কটি। মেরিনড্রাইভ ও এলজিইডি সড়ক হওয়ার পূর্বে সময় বাহারছড়ার মানুষ এই রাস্তা ধরে হ্নীলা ও রঙ্গীখালী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা জন্য যাতায়াত করত। তাই পুরনো রাস্তাটি আধুনিকতার সহিত নির্মাণ করা গেলে জাহাজপুরা গর্জন বাগান হতে পারে পর্যটকদের জন্য অবাধ সম্ভাবনাময় স্থান। ব্যবসা- বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে এই সড়ক শীগ্রই নির্মাণ করার দাবি সচেতন মহলের।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,” এই সড়ক অনেক টা পুরনো, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এই রাস্তা হলে দুই ইউনিয়নের সাথে সহজে যোগাযোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে আরো পরিবর্তন আসবে। বাহারছড়ায় উৎপাদিত পান সুপারিসহ সাগরের মাছ পরিবহনে সহজ হবে। হ্নীলা এলাকায় উৎপাদিত পণ্যে দ্রব্যে সহজে বাহারছড়া আসবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হৃীলা ইউনিয়নের জনগণের উপকূলে আসার জন্য বিকল্প কোন রাস্তা নেই তাই এই রাস্তার অনেক গুরুত্ব বহন করে। সরকারের কাছে দাবি যাতে বন্ধ এই সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।”

Check Also

চীন

বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে চীন

বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, …