শেখ হাসিনা

নতুন শিক্ষাক্রমে ভুলত্রুটি থাকলে দ্রুত আলোচনার নির্দেশ শেখ হাসিনার

নতুন পাঠ্যক্রমে ভুলত্রুটি থাকলে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন সরকার গঠনের পর গতকাল সোমবার প্রথম সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সচিবদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় নানা নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম নেওয়া হয়েছে, সেটি প্রচলিত শিক্ষাক্রম নয়। তা থেকে ভিন্ন।

এ বাস্তবতা মানতে হবে। তবে যদি কোনো ভুলভ্রান্তি, যদি কোনো তথ্যগত বা কোনো একটি বিষয়ে আলোচনা হয়, তাহলে দ্রুত যেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

কারণ, এটা নতুন শিক্ষাক্রম। যাঁরা করছেন, তাঁদের মধ্য থেকে যদি কোনো রকমের ভুলত্রুটি বা কোনো ঘাটতি তৈরি হয়, কোনো আলোচনা হয়, তাহলে সেটি যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন এবং সবাইকে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলোতে যেন মানসম্মত প্রশিক্ষণ হয়, সেটিও স্মরণ করে দিয়েছেন তিনি।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সচিব এবং জনপ্রশাসনকে সামগ্রিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সুসংহত হয়েছে।

প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা সচিবদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নির্ধারিত কোনো আলোচ্য বিষয় থাকে না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সব সচিব উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন সচিব বক্তব্য দেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিব সভা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরো পড়ূনঃ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের

Check Also

টিআইবি

১৪ বছরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৫১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতিঃ টিআইবি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের …