কেরানীগঞ্জে হঠাৎ করেই বেড়েছে চোরের উপদ্রব । একই রাতে ঘটেছে ৪টি চুরির ঘটনা । এর মধ্যে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অধীনে নতুন সোনাকান্দা গ্রামে ৩টি এবং দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার আমবাগিচা স্কুলে ১টি চুরির ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সোনাকান্দা গ্রামের আলতাজ উদ্দিন পুত্র মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সোলেমান মিয়া (৬৫) ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা আলমারীতে থাকা প্রায় ৯ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ ৮ হাজার টাকা ও মূল্যবার আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
একই গ্রামে আলামীন ভ্যারাইটিস স্টোর নামে একটি দোকনে চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানের মালিক নবী হোসেন (৪৮) জানান, তিনি প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত ১২ পর্যন্ত বেঁচাকেনা করে দোকান বন্ধের পর বাসায় চলে যান। পরদিন (আজ) ভোর বেলা দোকানে এসে তালা ভাঙা দেখি। আমার প্রায় ৩িন লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
একই রাতে সোনাকান্দা গ্রামে মোবাইল ফোন কোম্পানী রবির টাওয়ার রুমে টাওয়ারের ব্যাটারী চুরির চেষ্টা চালায় এক দল চোর। এ সময় আশে পাশের লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক কওে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হলেন ঃ মো: আল আমীন (৩০), আবুল হাসেম (৩০) , মোঃ এখলাস উদ্দিন (২৫), মোঃ আহাদুল (৩০), মোঃ রমজান (২৮), মোঃ নিজাম (৩৫), মোঃ লিটন হাওলাদার (৪০)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়াও দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে যে কোন সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষরের রুমের জানালার গ্রীল কেটে রুমের ভিতর প্রবেশ করে চোর। এসময় দুটি আলমীরা ভেঙে মূল্যবান জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, রবি কোম্পানীর টাওয়ারের ব্যাটারী চুরির ঘটনায় ৭ চোরকে আটক করা হয়েছে। বাকি চুরির ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা গুলো দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।