৩৫ জনকে শূন্য দিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান!

সুকান্ত সরকার, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি :২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের।

বর্তমানে বিভাগটিতে প্রায় ৪৫০ শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। কিন্তু বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সঙ্কিত এইসব শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিভাগটির চেয়ারম্যান খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ বিভাগের উন্নয়নের বিষয়ে যেমন উদাসীন তেমনি কারণে অকারণে শিক্ষাজীবন নষ্ট করার হুমকি দেন শিক্ষার্থীদের।

সম্প্রতি এই চেয়ারম্যান দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষায় প্রায় ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে এসাইনমেন্টে শূণ্য দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ চেয়ারম্যান শুধুমাত্র তার ক্ষমতা প্রদর্শন করতেই এসাইনমেন্টে শূণ্য দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের চারটা ব্যাচের জন্য মাত্র দুইটা ক্লাসরুম রয়েছে সেটিও টিনশেডে। বৃষ্টি হলে সেখানে ক্লাস করা যায়না।

এসব নিয়ে বা কোনো সমস্যা নিয়ে কথা বললে চেয়ারম্যান তার সমাধান তো করতেনই না বরং শিক্ষাজীবন নষ্ট করার হুমকি দিতেন। আর আমরা যাতে তাকে ভয় পাই শুধুমাত্র এই কারণে তিনি আমাদের ৩৫ জনকে এসাইনমেন্টে শূণ্য দিয়েছেন।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী জানান, “তিনি আমার এসাইনমেন্ট টা পরেই দেখেননি, শুধুমাত্র তার নামের স্পেলিং টা ভুল হওয়ায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন”। ওই শিক্ষার্থী জানান, তিনি এসাইনমেন্টের কভার পেজ না কিনে নিজে তৈরি করেছিলেন যেখানে খোন্দকার লেখায় তিনি ইংরেজি অক্ষর “ই” এর পরিবর্তে “এ” ব্যবহার করেছিলেন।

এদিকে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ। তিনি জানান শিক্ষার্থীদের তিনি নিজের সন্তানের মত ভালোবাসেন।

শিক্ষার্থীদের ভালোবাসলেও কেনো তারা অভিযোগ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ” ওদের অতিরিক্ত ভালোবেসে ফেলেছিতো তাই ওরা এসব অভিযোগ করছে।”

এসাইনমেন্টে শুন্য দেয়ার বিষয়টি শিকার করে এই শিক্ষক বলেন কপি পেস্ট করায় এবং লেখার মান খারাপ হওয়ায় শূণ্য দিয়েছি। কিন্তু তিনি যেসকল শিক্ষার্থীকে শূণ্য দিয়েছেন তারা প্রায় সকলেই অন্যান্য পরীক্ষাগুলোতে ভালো ফলাফল করেছেন। যেসকল শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট লেখার মান এতটা নিম্ন তারা কিভাবে অন্যান্য পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলেন এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই শিক্ষক।

উল্লেখ্য, খোন্দকার মাহমুদ পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের ভাতিজা। অভিযোগ রয়েছে তিনি সাবেক উপাচার্যের সহায়তায় দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিষ্প্রাণ নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ

Check Also

স্কাউটস বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়

কিশোরগঞ্জে স্কাউটস এর বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার অভিযান প্রশিক্ষণ

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ‘‘যথাযথ প্রস্তুতি, দুর্যোগে কমাবে ক্ষতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চলমান ৩য় জাতীয় দুর্যোগ …