কেরানীগঞ্জে অপমৃত্যুর আট মাস পর হত্যা মামলা দায়ের ॥ গ্রেপ্তার-২

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় গত ৪ মার্চ-১৮ ইং তারিখে এক যুবকের ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার শেষে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই বিশ্বজিৎ বর্মন। নিহত যুবকের নাম অপু বর্মন। এর দীর্ঘ আট মাস পর থানা পুলিশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে চারজনকে আসামী করে শনিবার নিয়মিত একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

থানায় মামলা রুজু করার পর রাতেই মামলার এজাহার ভুক্ত দুই আসামী গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী বিশ্বজিৎ বর্মন জানান, তার ভাই অপু বর্মন কালিন্দী ইউনিয়নের নির্জন বর্মন এর মেয়ে তৃষ্ণা রানী বর্মনকে বিয়ে করে ব্রম্মানকিত্তা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মহেন্দ্র বর্মন এর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার পিতার নাম রামানন্দ বর্মন।

ঘটনার আগের দিন অপু (নিজ ভাড়াটিয়া বাড়ির দু’বাড়ি পিছনে )তার শ্বশুর বাড়িতেছিল, সেখানে তাদের পারিবারিক কলহ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে অপুকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারপিট করে। পরে বিষয়টি গ্রামের মুরব্বিরা তাদের মিলমিশ করে দিলে অপু বাড়ি ফিরে আশে। এর একদিন পর আমার মা জোটি বর্মন এর ঘরের আড়ার সাথে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আমার ভাইকে দেখতে পেয়ে দ্রুত চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তরা অপুকে মৃত ঘোষনা করে।

এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এর ঠিক আট মাস পর থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ভাইয়ের ময়না তদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। পরে আমি বাদী হয়ে থানায় আমার ভাইয়ের শ্বশুর নির্জন বর্মন, শ্যালক শৈশব বর্মন, (স্ত্রীর বোনের জামাই) ভায়রা রনজিৎ বর্মন ও অপুর স্ত্রী তৃষ্ণা রানী বর্মনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই মোঃ আলাউদ্দিন জানান, গত ৪ এপ্রিল আমি খবর পেয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট কে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই। সেসময় নিহতের ভাই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। এর ঠিক আট মাস পর ৩ নভেম্বর স্যার সল্মিুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাই।

ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা আছে নিহত যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ রিপোটের পর নিহতের ভাই চারজনকে আসামী করে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করে। থানায় হত্যা মামলা রুজু হওয়ার পর আমরা রাতেই এ মামলার এজাহার নামীয় ভায়রা ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করি। স্ত্রী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। আশাকরি তাদেরকেও অতিশিগ্রই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।

এ.এইচ এম সাগর।

নিউজ ঢাকা ২৪।

 

আরো পড়ুন: কেরানীগঞ্জে দলিল জাল চক্রের।

Check Also

৬ বছর অপেক্ষার পর আবারো নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ রুটে বিআরটিসি দ্বিতল বাস

দিদারুল ইসলাম:   দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে পুনরায় চালু হয়েছে বিআরটিসি দ্বিতল বাস …