সে নাই
সে শুধু ভাবত,
সাধারণ মানুষের কথা।
সে শুধু ভাবত,
স্বাধীনতার কথা।
সে ভয় পেত না,
সে এক বিরাট সাহসিকতা!
যদি সে থাকত,
তবে সে হত, বিশ্ব সেরা নেতা।
হয়ত সে নাই,
তুবুও রয়ে গেছে তার কৃতিত্ব।
সে দিয়ে গেল একটি দেশ
তারই নাম বাংলাদেশ
সে আর কেউ নয়,
সে মহান নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

স্বপ্ন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কম বেশী কৌতুহল সর্বজনীন। কম বেশী আমরা সকলে স্বপ্ন দেখতে পাই। কিন্তু সবগুলো স্বপ্ন আমরা সৃতিতে ধরে রাখতে পারিনা। আলামা ইমাম গাজ্জালী (রহ:) বলেন, এই জগত ব্যাতিত আরও একটি জগত আছে। তাহার নাম “আলমে আরওয়াহ”বা অদৃশ জগত । মানুষ যখন ঘুমায় তখন পার্থিব জগতের চিন্তা হতে মন অবসর গ্রহন করে“আলমে আরওয়াহয়”বা অদৃশ্য জগতে ভ্রমন করে, সেখানে যাহা দেখে তাই সপ্ন
রাসুল(স:) বলেন, স্বপ্ন তিন প্রাকার হয়ে থাকে।
এক শয়তানী স্বপ্ন। এতে শয়তানের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় জাগ্রত হয়। শয়তান আনন্দ ও ভয়াবহ উভয় প্রকার দৃশ্য ও ঘটনাবলী স্মৃতিতে জাগিয়ে দেয়।
দ্বিতীয় প্রকার স্বপ্ন হল মানুষ জাগ্রত অবস্থায় যা কিছু দেখে, নিন্দ্রায় গিয়েও তাই দেখে। অথ্যাৎ কোন সময় মানুষ জাগ্রত অবস্থায় যে সব বিষয় ও ঘটনা প্রত্য¶ করে সে গুলোই সপ্নে নামান প্রকার আকৃতি নিয়ে দৃষ্টি গোচর হয়। এ ধরনের সপ্নে ভিক্তিহীন ।
তৃতীয় প্রকার সপ্ন সত্য ও বিশুদ্ধ। এটি আলাহর পক্ষ থেকে এক প্রকার ইলহাম তথা ইশারা। যা বান্দাকে সু সংবাদ দানের উদ্দেশ্যে করা হয়। যেমন হজরত ইব্রাহিম (আ:) কে আলাহ সপ্নে দেখালেন“তুমি তোমার প্রিয় বস্তুকে আমার উদ্দেশ্য কোরবানী কর”।(সূরা আস সফফাত)
এই সপ্ন দেশ অনুসরন করে তিনি তার পুত্রকে কোরবানী করেছেলেন।
রাসুল (স:) সপ্নকে গুর“ত্ব দিতেন। হজরত আনাস (রা:) হতে বর্নিত রাসুল (স:) বলেন,“যে আমাকে সপ্নে দেখবে সে সত্যিই আমাকে দেখবে কেননা আমার আকৃতি শয়তান ধারন করতে পারেনা”।
কোন মুমনি ব্যক্তির সপ্ন মিথ্যা হতে পারেনা। রাসুল (স:) বলেন, “মুমিন ব্যক্তির সপ্ন একটি সংযোগ বিশেষ। এর মাধ্যমে সে তার পালন কর্তার সাথে বাক্যালাপ করার গৌরব অর্জন করে”। (তিবরানী)
কিয়ামতের নিকটবর্তী হলেও মুমিনদের সপ্ন মিথ্যা হবেনা। হজরত আবু হুরায়রা (রা:) বর্নিত রাসুল(স:) বলেন, “নবী (স:) ইন্তেকালের পর পর সু সংবাদ প্রদানের মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, সু সংবাদ প্রদান কারী মাধ্যম কি? তিনি বললেন,ভাল ¯^প্ন”।(বুখারী)
রাসুল(স:) ফজরের নামাজ পর সাহাবীদের দিকে মুখ করে বসতেন। এবং প্রায় সময় সাহাবিরা ¯^প্ন দেখলে তার তাৎপর্য বলে দিতেন। তিনি নিজে সপ্ন দেখতেন এবং সাহাবীদের নিকট হুবহু বর্ননা করতেন।
সপ্ন ভাল মন্দ উভয়ই ধরনের হয়ে থাকে । রাসুল (স:) বলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ পছন্দনীয় বা ভাল সপ্ন দেখে তাহলে সে আলাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করবে । প¶াš—রে অপছন্দনীয় বা খারাপ সপ্ন দেখে আলাহর দরবারে আশ্রয় চাইবে এবং অযু করে পবিত্র কোরআন গুর“ত্বপূর্ন সূরা তেলয়াত করে শুবে।