সরকারী হাসপাতালে রোগী না থাকলেও বেসরকারী ক্লিনিকগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভীড়

এ.এইচ.এম সাগরঃ ডেঙ্গু জ্বর দিন দিন মহামারী রুপ ধারন করছে। সরকারী এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪ সালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীরসংখ্যা ৩৭৫ জন সেখানে চলতি বছর জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার পাচশর চেয়ে বেশি ছাড়িয়েছে। তবে বেসরকারী হিসাবে সংখ্যাটা অনেক।

রাজধানী ঢাকার মতো কেরানীগঞ্জেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালও ক্লিনিকগুলোতে ঘুরে সরজমীনে দেখা যায় ,ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। কেরানীগঞ্জের প্রায় সব হাসপাতালেই সরকার নির্ধারীত ফি অনুযায়ী রক্ত টেস্ট করা হচ্ছে। তবে দুই একটি হাসপাতালে এর ব্যাতিক্রম ও রয়েছে। কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে অবস্থিত পপুলার জেনারেল হাসপাতালে টেষ্টের জন্য নির্ধারিত ৪০০ টাকা বললেও সুই সিরিঞ্জের কথা বলে বাড়তি ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মমতাজ ক্লিনিক থেকে সিবিসি টেষ্টের জন্য ৬০০টাকা এবং এনএস ১ টেষ্টের জন্য ৭৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জিনজিরার ছাটগায়ে সাজেদা হাসপাতালের সিনিয়র ম্যানেজার শাহজালাল ফরাজি জানান , গত মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনে সাজেদা হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে ৩৫ জনকে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ২৮ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। চলতি জুলাই মাসে সর্বমোট ১৫০ জন রোগী বহিঃবিভাগে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছে। ৫৭ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের কে উন্নত চিকিৎসারজন্য অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বসুন্ধরা আদদীন হাসপাতালে গতকাল পর্যন্ত ৩০ জন ডেঙ্গু রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া পপুলার জেনারেল হাসপাতালে গিয়েও প্রায় ১০/১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি দেখা যায়, তবে তাদের সুরক্ষার জন্য রোগির বেডের পাশে মশারী রাখা হলেও তা টাঙ্গানো দেখা যায়নি। রক্ত পরীক্ষা করার জন্য ও ছিলো লম্বা লাইন।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে উল্টো চিত্র দেখা যায়।বেসরকারী ক্লিনিক গুলোতে যেখানে উপচে পড়া ভীড়, সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নেই বললেই চলে। সরজমীনেউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, স্বয়ং হাসপাতালের এস এস এম ও স্টাফ বিজয় চন্দ্র সরকার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। সবমিলিয়ে ৬ জন রোগী ভর্তি হাসপাতালে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার মীর মোবারক হোসাইন বলেন, উপজেলা কেরানীগঞ্জটি রাজধানী ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় বেশির ভাগ রোগীই একটু সমস্যা হলেই নদীর ডিঙ্গি ওপারে চলে যায়। এছাড়া আমাদের হাসপাতালটা একটু ভিতরের দিকে তাই রোগীরা এখান কমআসে। তার পরেও যারাই আসে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সেবাদিয়ে থাকি। #

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,নরসিংদীর মহিলালীগ নেত্রীর হোটেল বিল ১ কোটি ৩০ লাখ

Check Also

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে …