স্কুটি ছিনতাইয়ের শিকার শাহনাজ আক্তারকে স্কুটি কিনে দিতে চান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ।
তিনি বলেন, শাহনাজ আপু কারো পরিচিত হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলার অনুরোধ করছি।বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা আপুকে তার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম, একটি নতুন স্কুটি বাইক উপহার দিতে চাই।
গোলাম রাব্বানী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাশে আছে, জীবন যুদ্ধে শাহনাজরা থেমে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
এর আগে, নারী হয়েও রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবার চালানোর কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত সেই শাহনাজ আক্তারের বাইকটি ছিনতাই হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের বিপরীত দিকে রাজধানী স্কুলের সামনে থেকে তার বাইকটি ছিনতাই করে এক ব্যক্তি।
এ বিষয়ে শাহনাজ আক্তার বলেন, ঋণ করে স্কুটিটি কিনেছিলাম। এই স্কুটিটি দিয়েই চলত আমার সংসার। আজ সেই সম্বলটাও ছিনতাই হয়ে গেল। জানি না কীভাবে এই ধাক্কা সামাল দেব।
তিনি বলেন, উবার চালানোর সূত্রে পাঁচ দিন আগে জনি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে পরিচয় হয়েছিল। তিনিও আমার মতো উবার চালাতেন।
‘সম্প্রতি ওই ব্যক্তি আমাকে নির্দিষ্ট এক নারী রাইডারকে ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দেন। ওই নারী রাইডারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি আমাকে আজ (মঙ্গলবার) খামারবাড়ি আসতে বলেন।
শাহনাজ বলেন, ওই নারীকে না পেয়েতিনি আমাকে নিয়ে বিমানবন্দর যান। সেখান থেকে আবার আগারগাঁওয়ের তালতলা আসি। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আমি আসাদগেট এলাকায় আসি। এ সময় তিনি ‘মেয়েদের স্কুটি’ কীভাবে চালায়- বলে আমার বাইকে উঠে বসেন।
‘আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তিনি আমার বাইক নিয়ে চলে যান।’
জানা গেছে, শাহনাজ আক্তার নীল রঙের একটি মাহিন্দ্র স্কুটি চালাতেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-হ-৫৫-২৯৪৭। ধার করে স্কুটিটি কিনেছিলেন তিনি।এখনও সেই ঋণের এক লাখ টাকা বাকি আছে। আর পরিবার চালানোর একমাত্র মাধ্যমও ছিল তার স্কুটিটি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শাহনাজ আক্তার সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। রাজধানীর মিরপুরেই জন্ম তার। বাবা নেই, মা আর বোনেরা আছেন। স্বামী থাকলেও তিনি আলাদা থাকেন। তার সঙ্গে তার দুই মেয়েও থাকে। বড় মেয়ে নবম ও ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জিজি বিশ্বাস বলেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউথেকে ওই নারীর একটি স্কুটি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন: জিডি করার নিয়মাবলী।