রাতুল হত্যা র সাথে জড়িত শাহ আলম শাহা সহ বাকি আসামীদের দ্রুত বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে কলাতিয়া ও হযরতপুর এলাকার বাসিন্দারা , রাতুল হত্যার সাথে জড়িত শাহ আলম সাহা সহ, বাদল শেখ, শাহীন, আওয়াল, রবিউল, রহমানের ফাসির দাবীতে কলাতিয়ার মানিক নগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে । মিছিলটি মানিক নগরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে কলাতিয়া পুলিশ ফারির সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্য রাতুলের বাবা কাবুল মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ, আমি ভ্যান চালাইল শাহলম শাহ বিনা দোষে আমার ছেলেটারে মারসে। আমি আপনাদের মাধ্যমে দাবী জানাচ্ছি আমার নির্দোষ ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত বিচার করা হয়। শাহলম সাহ সহ বাকিদের যেন ফাসি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, নিহত রাতুল ও তার বন্ধুরা গত বুধবার সন্ধ্যার পরে মানিক নগর এলাকায় একসাথে বসে গল্প করছিল। এ সময় ওই এলাকার জৈনক রহমান মিয়া নামক এক ব্যাক্তি মদ্যপ্য অবস্থায় নেশার ঘোরে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। রাতুল ও তার বন্ধুরাও রহমানকে পাল্টা মারধর করে। এ ঘটনায় পরের দিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় মানিক নগর আওয়ামীলীগ ক্লাবে সালিশ বসে। সালিস শুরু হওয়ার আগে সালিশে আসা শাহালম শাহা (৫০) নামক এক ব্যাক্তি রাতুলের মাথায় কাঠের একটি তক্তা দিয়ে আঘাত করে। আঘাতের ফলে রাতুলের মাথা ফেটে রক্ত ক্ষরন হয় এবং রাতুল মাটিতে লুটে পড়ে। সালিসের লোকজন সাথে সাথে রাতুলকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।সেখানে রাতুল দু’দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত শনিবার ভোরে মারা যায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের মামলা হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এবং এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার কওে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান। এ ঘটনায় রাতুলের বাবা রতন মিয়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।