সজিবুল ইসলাম হৃদয়ঃ আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু’তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তণে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে।
তবে এবার “বসন্তের মাতিয়ে প্রাণ, গাইরে পিঠা-পুলির গান” প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহী কলেজে হরেক রকম দৃষ্টি নন্দন পিঠাপুলি নিয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজের ছায়াবীথি প্রাঙ্গনে ক্লাব অফ ইকোনমিকস, অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে হরেক রকমের পিঠাপুলির স্বাদ নেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. হবিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ মো আব্দুল খালেকসহ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় দর্শন ৩য় বর্ষের তিথি সরকার জানান, পিঠা তৈরী একটি শিল্প। নানা ধরনের নানা রঙের, নানা বর্ণের ও নানান সাজে পিঠা তৈরী করে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন পিঠা স্বাদ নিতে পেরে আয়োজকদের এমন একটি উৎসবের আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান। এছাড়া বাংলা ৩য় বর্ষের নুর মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন পিঠা হচ্ছে বাঙ্গালী জাতীর সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মেসে থাকার সুবাদে এত রকমের পিঠা তেমন একটা খাওয়া হয় না। তবে পিঠা উৎসবের সুবাদে মায়ের হাতের পিঠার স্বাদ মনে পড়ছিলো।
“সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধন এবং সীমিত সম্পদের সেতুবন্ধন-ই অর্থনীতির নিরন্তর প্রয়াস” ক্লাব অফ ইকোনমিকসের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানায় শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, মজাদার পিঠার মধ্যে ছিলো পাটিসাপটা, পাকন, পুলি, মিঠা, ক্ষীরপুলি, নারকেলপুলি, আনারকলি, দুধসাগর, গোলাপ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, লাভ বার্ড প্রভৃতি।