বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, যে ভয় পায় সে হেরে যায়। তাকে আর জেতানো সম্ভব নয়। ভয় পেলে চলবে না, আমাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। আমি যদি ৫০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বপ্ন দেখি তাহলে অন্তত ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনও সম্ভব নয়।
শনিবার দুপুর দেড়টায় উপজেলার জিনজিরা পি এম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে কেরানীগঞ্জ গ্রাজুয়েট সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত “এডুকেটর ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের শিক্ষার মান ও হার দুটোই বেড়েছে। ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও এগিয়ে, ঘরে ঘরে আজ গ্রাজুয়েট ছেলে-মেয়ে পাওয়া যায়। শিক্ষার মান বেড়েছে বলেই দেশ আজ এতো উন্নত হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ গ্রাজুয়েট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন, পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম এ কাইয়ুম, যুগ্ম সচিব আলী নূর, নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আব্দুল হান্নান ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব জলিল ভূঈয়া ও জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান হাজি শাকুর অহোসেন সাকু। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. মনিরুজ্জামান রুবেল, জাকির হোসেন, জিনজিরা পী এম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রীন্সিপাল ড. মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক কেরানীগঞ্জ গ্রাজুয়েট সোসাইটির সদস্য সাহেব আলী, জাকির আহমেদ,অহিদুজ্জামান রাসেল মেম্বারসহ সকল সদস্যবৃন্দ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দরা কেরানীগঞ্জ সোসাইটির পক্ষ থেকে পড়া লেখায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল গাইড করার জন্য জিনজিরা পী এম পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের নয়জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করেনে।