সামসুল ইসলাম সনেটঃ ঢাকা শহর থেকে একটু দূরে কেরানীগঞ্জ নবাবগঞ্জ রোডের লাখিরচরে ধলেশ্বরী নদীর উপর অবস্থিত তুলসী খালী ব্রিজ। ব্রিজটি যে কোন উৎসব ও অনুষ্ঠানে হয়ে উঠে প্রাণচঞ্চল।
মানুষের ভিরে বাইকের নানা শব্দে কেঁপে উঠে ব্রিজ। কেরানীগঞ্জ ঢাকা শহরের খুব কাছে হলেও এখানে বলার মত নেই কোন বিনোদন কেন্দ্র। তাই কেরানীগঞ্জ ও তার আশেপাশের লোকজন সবাই তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে আসে এই ব্রিজে। একমাস শিয়াম সাধনার পর এই ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্রে করেও ফের সরগরম হয়ে উঠেছে তুলশিখালী ব্রিজ।
কেরানীগঞ্জ হাতেগােনা কয়েকটি বিনােদন স্পট থাকালেও যে কোন উৎসবে মানুষের পছন্দের তালিকায় সবার ওপরেই তুলসীখালী ব্রিজ, নদীর পাড় ও তার আশপাশের খোলা যায়গা। ছােট – বড় সবার কাছেই সমান পছন্দ এই স্থান টি । আর বিনােদনপিপাসুদের ভিড়ে ব্রিজের পাড়ে চটপটি থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলাের ব্যবসাও এখন জমজমাট । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। বিকেল হলে জনসমাগম বেড়ে যায় বহু গুন। নদীতে পানি আসায় পরিবার – পরিজন নিয়ে কেউ কেউ নৌকা ভ্রমণে বের হয়ে পড়ে।। আবার কেউ পাড়ে বসে বন্ধুদের নিয়ে ঈদ আড্ডায় মেতে উঠছেন। কেরানীগঞ্জের লাখিরচরের এক মৌসুমী চটপটি বিক্রি বিক্রেতা জানান , ঈদের দিন বিকেল থেকে তিনি ব্যবসা শুরু করেছেন, ভিড় থাকায় প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লাভ করছেন ।
মূলত ঈদ ও বৈশাখী এই সময়টার জন্যই স্থানীয় মৌসুমী ও কিছু ছোট ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে । থাকেন । এ সময়ের ব্যবসায় বেশি লাভ হয় । কেরানীগঞ্জের নতুন সোনাকান্দা ঢাকা বিসিক শিল্পনগরী থেকে আগত আলতাফ হোসেন, নুর আলম ও আরিফ নামের তিন তরুণ জানান , কেরানীগঞ্জে কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র থাকলেও এর কোনটাই আমারদের কাছে এই ব্রিজের চেয়ে ভালো মনে হয় না। শুধুই টাকা নষ্ট, তারপরও আবদ্ধ পরিবেশ । তাই প্রকৃতির নির্মল বাতাস খেতে তারা তুলসীখালী চলে আসা। তবে পাগলা ও ক্ষেপাটে বাইকারদের কারণে যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। তবুও ঈদের জন্য অন্যতম এ বিনােদন স্পটেও যেনাে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
আরো পড়ুন,শুধু হালাল খাদ্যাভাসের কা’রনে করোনা ভা’ইরাস থেকে নিরাপদে রয়েছে চীনা মু’সলিম’রা