যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আলোচনায় এইচ এম রেজাউল করিম রেজা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে আলোচনার শীর্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের বর্তমান যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও আওয়ামী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।

রাজনীতি জীবনে তিনি একজন আদর্শ সংগঠক হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের দায়িত্ব সততা ও ন্যায় পরায়নতার সাথে পালন করায় তাকে সৎ,সাহসী ও মেধাবী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবাই তাকে ভালবাসে।

এইচ এম রেজাউল করিম রেজা ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কোন অন্যায় ,অবিচার বা কোন ধরনের দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় নেতা কর্মিদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

রাজনীতিতে আসা-ঢাকার আরমানি টোলা স্কুলের ১০ম শ্রেনী উঠার পর আওয়ামীলীগের আদর্শবান রাজনৈতিক দল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তিনি যোগদান করেন।

এই মেধাবী নেতা লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির আলোচনায় ও ১৯৮৬ সালে ৫১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন।

১৯৮৭ সালে ঢাকার আরমানি টোলা গভমেন্ট স্কুলের থেকে এস এস সি পাস এবং কবি নজরুল সরকারী কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে এইচ এস সি পাস ও একই কলেজ থেকে ১৯৯২ সালে বি এ পাস করেন।

কলেজ জীবনে তিনি ছাত্রলীগের একজন নির্বাচিত সক্রিয় সদস্য ছিলেন।১৯৯৩ সালে তিনি মহানগর ৭৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯৪-৯৫ সালে মহানগর ৭৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। এই আদর্শবান মেধাবীনেতা ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিনের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব সততার সাথে পালন করেন এবং ২০১২ সালে দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ১নং যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ঘোষনাদেন ।

তিনি ২০১৪ সালের আক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করেছেন।

এইচ এম রেজা ছাত্র জীবন থেকে নিজের দলের জন্য একজন নিবেদিত প্রান  রাজনৈতিক জীবন কোন ভাবে সভা সমাবেশ ফাঁকি দেননি তিনি ,রেজা সব সময় দলের কর্মসূচির ডাকের অপেক্ষায় থাকতেন।

আওয়ামীলীগের নেত্রী বর্তমান দলের সভাপতির ডাকে ১৯৮৯ সালে ততকালীন রাষ্ট্র নায়ক হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকাড় হন।

খালেদা বিরোধী আন্দোলনে করতে গিয়ে ১১টি মামলাসহ ১৯৯৫ সালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নির্মমভাবে জেলহাজতে নির্যাতনের শিকাড় হয়েছেন এইনেতা।

২০০১সালে বিএনপির খালেদা জিয়া সরকারের আমলে বাসায় রাত কাটেনি তার ,বিভিন্ন সময় লুকিয়ে থেকে দলের হাইকমান্ডের দায়িত্বশীলদের ডাকে সাড়া দিয়ে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেছেন তিনি।

২০০৬সালে ২৮ অক্টোবর পল্টনমোড়ে যুবলীগের সমাবেশে জামায়াত শিবির অতর্কিতভাবে হামলার করে মাইকে ঘোষনা দেয় মরলে শহিদ বাঁচলে গাজী।

সেইদিন এই ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবলীগ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম রেজার নেতৃত্বে জামায়াত শিবিরের আন্দোলনকে প্রতিহত করেন তিনি এবং সেই দিন তিনি আহতও হয়ে ছিলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সমাবেশে ততকালীন বিরোধীদলের নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য চলাকালে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল জঙ্গিরা ,জঙ্গিহামলা দিন তার নিজের গায়ে স্পীপ্লিন্ডার লেগেছিল তাঁর ঠোঁটে ও হাতে যার ক্ষত তিনি এখনো বহন করছেন।

সেই দিন তিনি নিজের ব্যাথা ভুলে গিয়ে এই সাহসী নেতা নিজের সহযোগিতায় রোগিদের হাসপাতালে ভর্তি করে ছিলেন। ২০০৭সালে ১৬জুলাই তত্ত¡াবদায়ক সরকারের আমলে ততকালীন বিরোধীদলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে বিশেষ আদালতে নিয়ে যাবার সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিনযুবলীগ দপ্তর সম্পাদক রেজার নেতৃত্বে রায়সাহেব বাজার মোড়ে শেখ হাসিনার মুক্তির চাই বিশাল মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনাকে বহন করা গাড়িটি আটকিয়ে দিলে সেই দিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশের হাতে বেদম নির্যাতনের স্বীকার ও গ্রেফতার হন এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

প্রশ্ন করা হয় যুবলীগ মহানগর দক্ষিন সভাপতি প্রার্থীর গুঞ্জন শুনি আপনি কি ভাবে মুল্যয়ন করেন?

এইচ এম রেজাউল করিম রেজা বলেন, এ বিষয় আমি আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিবেন,তিনি আমাকে দায়িত্ব দিলে সে দায়িত্ব সততার সাথে পালন করবো। ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগকে শেখ ফজলুল হক মনির যুবলীগে পরিণত করবো ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাবো এবং সকল আন্দোলন সংগ্রামে পাশে থাকবো। তিনি আরো বলেন,আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দলের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি।

দল যদি মনে করেন আমাকে এমহান দায়িত্ব অর্পন করবেন,আমি অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করবো এবং মহানগর দক্ষিন যুবলীগকে আমার মেধাদ্বারা তৃনমুল নেতাকর্মীদের নিয়ে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করবো।
মোঃ এরশাদ হোসেন

আরো পড়ুন ,

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। আগামী ২৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের অনেক নেতাও রয়েছেন দৌড়ের ওপর। সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো যুবলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী চেয়ারম্যান ওমর ফারুককে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের যুবলীগের কাউন্সিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে কমিটিতে, এটি নিশ্চিত। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ নেতারা বাদ পড়বেন। নেতৃত্বে আনা হবে ক্লিন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের। ইতিমধ্যে নতুন নেতৃত্বের সন্ধান শুরু করেছেন খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন ইমেজকে প্রাধান্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,রাজবাড়ীর বানিবহ এলাকায় জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ-আহত-৮

Check Also

সুইডেনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল

সুইডিশ পার্লামেন্টারি ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির ডেপুটি লটা জনসন ফরনার্ভ এবং মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন …