বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে দুটি দল কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মেরকাছে পৌছে দেয়ার জন্য জননেত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আর বিএনপি-জামায়েত সরকার ইতিহাস বিক্রিত করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপাস্থাপন করেছে। খাদ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করেছে, একাত্তরে আমরা যে পাক বাহিনীর সাথে আমরা যুদ্ধ করেছি,তাদের দোসররাই বঙ্গবন্ধুর পরিবারে হত্যা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের চিত্র বা ইতিহাসনতুন প্রজন্মকে এতোদিন জানানো হয়নি বা পাঠ্য পুস্তকেও দেয়া হয়নি।
একাত্তরের ঘাতকরাতাদের পারাজয়ের প্রতিশোধ রহম করার জন্য,তাদের জিজ্ঞাংসা চরিতার্থ করার জন্য ১৯৭৫ সালের১৫ আগষ্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে বহু রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনীতিবিদদের প্রান দিতে হয়েছে। আমরা জানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টআব্রাহাম লিংকন, জন কেনেডি, চিনের প্রেসিডেন্ট আলেংগিন, ভারতেরমহাত্মাগান্ধি,ইন্দ্রিরা গান্ধি, রাজিব গান্ধিসহ অনেক রাষ্ট্র নায়ককে প্রান দিতে হয়েছেআততাইয়ের হাতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে নৃশংসয়ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, এরকম পৈশাচিক জঘন্যতম হত্যা কান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটাও নাই।
পৃথিবীর জগন্যতম তিনটি হত্যা কান্ডের মধ্যে জিয়া ও জিয়া পরিবার জড়িত। এদের মধ্যে জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে হত্যা, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা ও ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় সাধারন জনগনসহ বহু নেতা কর্মি হত্যা। গতকাল বুধবার সকালে কলাতিয়া ডিগ্রী কলেজ প্রঙ্গনে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাসিক ঐশয্য পত্রিকার মোড়কউম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার নিম্ম আদালতে বিচার করতে পেরেছি। এরপর ক্ষমতায় এসে ঘাতকদের কয়েকজনকে ফাঁসি দিতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি বাকী আসামীদেরকেও ইন্টারপোলের মাধ্যমে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে হাত মিলিয়েছে।
জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার আসামীদের পুরস্কারও দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, সাথে সাথে পাকিস্তানের স্বিকৃতী , হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা , মুক্তিযুদ্ধের বিরোধি শক্তিদের গাড়ি জাতীয় পতাকা দিয়েছে।
বাংলাদেশটা সম্পূর্ন ভিন্ন কায়দায় নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করেছে। খাদ্য মন্ত্রী আরো বলেন, কোন অবস্থাতেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না। সাধারন মানুষ এখন যথেষ্ট সজাগ, সাধারন মানুষ এখনউন্নয়নের পক্ষে অগ্রগতিসিল, সাধারন মানুষ এখন নির্বাচনের পক্ষে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাধারন মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের পক্ষে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিয়ষ আদালতের হাতে। সেটা সরকারের নয়। আপনারা নির্বাচনে আসেন।নির্বাচন কমিশন আগামীতে সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিবে। আপনারা (বিএনপি) যদিনির্বাচনের না আসেন তাহলে আপনাদের দল মুসলীমলীগের চেয়ে ভয়াবহ হবে। বাংলাদেশেরে স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারক্ষমতায় আনবো। কোন অবস্থাতেই যেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে
না পারে আমাদেরকে লক্ষ রাখতে হবে। যতক্ষন মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির পতন না ঘটে ততদিন বাংলাদেশেসুবাতাস বইবে না।ঢাকা-২ আসনের নির্বাচনী সমš^য় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ডা. ইখতিয়ার আহমেদ এরসভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা-২ আসনের নির্বাচনী সমš^য় কমিটির সভাপতি মোঃইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, , ঢাকা-২ আসনের নির্বাচনী সমš^য় কমিটির যুগ্মআহবায়ক ও কেস্দ্রীয় আওয়ামীরীগের উপকমিটির যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব,হাজি আবু সিদ্দিক,তাতীলীগ নেতা মোঃ ফজলুল হক, আ,লীগ নেতা মোঃ মাজাহান ভুইয়া,শিশু সংগঠক ও লেখক মোঃ শাজাহান হাফিজ, সাবেক সচিব (শিল্প মন্ত্রনালয়) নুর উদ্দিনআহমেদ,জাতীয় পার্টি (জাগপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা প্রমুখ।