আজিজ উল্লাহ, উপকূলীয় প্রতিনিধি:
টেকনাফের বাহারছড়া ইউপির মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন এলাকা যেন মিয়ানমারে পণ্য পাচারের ট্রানজিট রোড। প্রতিদিনের মতো মিয়ানমারের অবৈধভাবে পাচারের প্রস্তুতিকালে বিশাল জ্বালানি তেল অকটেন জব্দ করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতের বেলা পণ্য পাচারের প্রস্তুতির গোপন সংবাদ পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের একটি চৌকস দল, ইন্সপেক্টর মছিউর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মো. ইছমাইল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করলে বড়ডেইলস্থ মেরিনড্রাইভের পূর্ব পাশে মওজুদ অবস্থায় এসব জ্বালানি তেল অকটেন দেখতে পায়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে গেলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আনুমানিক ৩০ লিটার ওজনের ৩০ ড্রাম অকটেন জব্দ করা হয়। তবু এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে অবৈধভাবে সমুদ্র হয়ে নৌকাযোগে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে অকটেনসহ বিভিন্ন পণ্য পাচার করে যাচ্ছে কালোবাজারিরা। উপকূলের বিভিন্ন তেলের দোকান ও বিভিন্ন পণ্যের দ্রব্যের এজেন্ট কালোবাজারিদের সাথে আঁতাত করে দেশের পণ্য দ্রব্য অধিক লাভের প্রলুব্ধ হয়ে মিয়ানমারে পাচার করে যাচ্ছে। এতে করে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব শুরু হয়েছে। বিশেষ রমজানে উপলক্ষে সবার প্রয়োজনীয় ছোলা ও ভোজ্য তেল, গত বছরের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। এসব জ্বালানি তেলসহ পণ্য পাচারে জড়িত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন পণ্যের এজেন্ট, নৌকার মালিক, শ্রমিক ও জনপ্রতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিশেষ করে জাল ব্যবসায়ী যারা পূর্ব থেকে মিয়ানমারের সাথে অবৈধ কারেন্ট জাল ও বিভিন্ন মাদকের চালান নিয়ে আসত তারাই বেশি জড়িত হয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন সুত্র বলছে এসবের পণ্য পাচারের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা, আইসাহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মছিউর রহমান বলেন,” গতকাল রাতে বড়ডেইল মেরিনড্রাইভ সড়ক এলাকা থেকে অকটেন পাচারের প্রস্তুতির সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩০ ড্রাম জ্বালানি তেল অকটেন জব্দ করা হয়েছে। এর কয়েকদিন আগে একাই এলাকা থেকে ৭০ লিটার ওজনের আরো ড্রাম অকটেন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন প্রায় সারারাত ২৫ কিলোমিটারের সমুদ্রঘেঁষা মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদক, চোরাচালান ও বিভিন্ন অপরাধ নির্মুলে তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। “