বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুড়িগঙ্গা নদীর ফরাসগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া কালো প্যান্ট পরিহিত লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মোঃ নবিয়ার হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি লাল মনিরহাট জেলার সদর থানা এলাকায়।
তার পিতার নাম মৃত ওসমান আলী। তিনি সদরঘাট সাইকেল এলাকার মাঠ এলাকা সরবত বিক্রি করতেন। দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার পূর্ব আগানগর নামাপাড়া এলাকার জনৈক শহীদ মিয়ার ভাড়াটে ভাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুনকুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী নিহতের মেয়ে নিশিতা আক্তার মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে গিয়ে পিতার লাশ শনাক্ত করেন। এ সময় নিহতের স্ত্রী লাকী আক্তার সাথে ছিলেন।
নিহতের মেয়ে নিশিতা আক্তার জানান, তার পিতা ঢাকার সদরঘাট সাইকেল মাঠ এলাকায় সরবত বিক্রি করতেন পাশাপাশি বাবুর্চির কাজ করতেন। গত তিন দিন আগে তিনি রাতে সরবত বিক্রি করে নৌকা যোগে পার হওয়ার সময় নিখোঁজ হন। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করতে থাকি। শুক্রবার বিভিন্ন্ মাধ্যমে জানতে পারি যে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমার মাকে নিয়ে আমরা হাসপাতাল মর্গে এসে আমার বাবার লাশ ষনাক্ত করি। নিহতের স্ত্রী লাকী আক্তার জানান, আমরা লাশ নিয়ে দেশের বাড়ি লাল মনিরহাট এলাকায় নিয়ে যাবো। সেখানেই শনিবার তার দাফন করা হবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান জানান, নিহতের স্ত্রী ও মেয়ে লাশ শনাক্ত করেছে। আমরা তাদের কাছেই লাশ হস্তান্তর করবো।
এ.এইচ.এম সাগর।