বুড়িগঙ্গা নদীর কামরাঙ্গিরচর মুসলিমবাগ খেয়াঘাট এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত নামা (১৫) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আলাউদ্দিন জানান, স্থানীয় লোকজন কামরাঙ্গিরচর মুসলিমবাগ খেয়াঘাট এলাকায় একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর ভাসমান লাশটি টানে তুলে নিয়ে আসি। লাশের বয়স আনুমানিক ১৫ বছর হবে।
তার পড়নে কালো রংয়ের জিন্স প্যান্ট পরিহিতছিল। গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। শিশুটি কিভাবে পানীতে পড়ে মারা গেছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট বা পরিচয় পাওয়া না গেলে কিছু বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাত শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: কেরানীগঞ্জে ভুয়া পুলিশ আটক।
ভুয়া পুলিশ সেজে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়ে শ্রীঘরে গেলেন দুই ব্যাক্তি। আটককৃত দুই ব্যাক্তি হচ্ছে : ঢাকা জেলা ধামরাই থানার বালিয়া গ্রামের মোজাহার আলী খান মজলিসের ছেলে নাঈম আলী খান (৪৫) ও একই থানার চোহাট গ্রামের মোঃ মান্নান মিয়ার ছেলে মোঃ আইয়ুর মিয়া (৪৭)।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিসের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার হলে। পরে আটককৃতদের বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এর আদালতে হাজির করা হলে , তিনি আটককৃত দুই ভুয়া পুলিশের জবানবন্দীতে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক মোঃ রাফিক আল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুইজন পরিক্ষার্থী পুলিশের পোষাক পড়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে পরীক্ষার হলে বাড়তি সুযোগ সুবিধা গ্রহন করার জন্য পায়তারা করছে।
এসময় তাদের আচার আচরন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। ওই দুই পুলিশকে লিখিত পরিক্ষার পর তাদের ডেকে পুলিশের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তারা পরিচয়পত্র দেখাতে পারেন নাই। বরং তারা আমাদের সাথে উচ্চ বাচ্চ শুরু করেন, তখন আমরা তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার হুমকী দিলে তারা জানান, তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পরিক্ষার্থী। পুলিশের পোষাক পড়ে এসেছে যাতে পরীক্ষার মধ্যে তাদের পুলিশ ভেবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া
এ.এইচ.এম সাগর।