রবিবার দুপুরে রাজধানীর হাজী আব্দুল আওয়াল কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বুড়িগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে সাইদুল হোসেন (১৮) নামের এক ছাত্র নিখোঁজ হয়।
তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার দরিয়াবাদ এলাকায়। তার পিতার সেকান্দার হোসেন। সে তার মা-বাবার সাথে রাজধানীর কামরাঙিরচর থানাধীন ৯৭২ নং পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় বসবাস করতেন। আজ (গতকাল) সোমবার সকালে নিহত ছাত্রের লাশ ঘটনাস্থলের পাশেই ভেসে উঠে। এ সময় নিহত ছাত্রের লাশ দেখে তার স্বজনদের আর্তনাদে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে। নিহত ছাত্রের লাশ দেখে ঘটনাস্থলে থেকে এলাকাবাসি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এস আই বিজন কুমার দাস জানায়, রবিবার দুপুরে রাজধানীর হাজী আব্দুল আওয়াল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র সাইদুল হোসেন, মুন্না, নিরব, রাব্বি ও কামরুল ইসলাম মিলে কলেজ থেকে ফেরার সময় কামরাঙিরচর খোলামোড়া খেয়া ঘাটে গোসল করতে নামেন। নিহত সাইদুল সাতার কম জানতের। সে পানি কম ভেবে নদীতে নেমে একটু দুরে গেলে পানিতে তলীয়ে যায়। সাইদুল পানিতে তলীয়ে যাবার সময় ডাকচিৎকার করতে থাকে। তখন তার এক বন্ধু তাকে বাচাঁতে গিয়ে সেও বিপদে পড়েন। এ সময় খেয়া ঘাটের এক নৌকার মাঝি তাদের উদ্ধার করতে এসে সাইদুলের বন্ধুকে উদ্ধার করতে পারলেও সাইদুল নিখোঁজ হয়।
সাইদুলের বন্ধুরা ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে সাথে সাথে সাইদুলের স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসে। তারা নিজেরাও পানিতে নেমে পড়ে সাইদুলকে খোজার জন্য পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদলকে নামান সন্ধানে। রবিবার সারাদিন খোজাখুজি করে না পেয়ে সাাইদুলের স্বজনরা বসে থাকেন নদীর পারে। কখন যেন তাদের আদরের সাইদুলের লাশ ভেসে উঠে। এরপর গতকাল সোমবার সকালে ঘটনাস্থলের একটু পশ্চিমে সাইদুলের লাশ ভেসে উঠলে সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, যেহেতু নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ নাই এবং তারা বিনা ময়না তদন্তে লাশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। পরে নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত মামলা দায়ের করে লাশ নিয়ে যায়।