কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০১৮ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে “স্বাস্থ্যের উপর তামাকের প্রভাব” শ্লোগানে কলেজের ১নং লেকচার গ্যালারীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় বসুন্ধরা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজের কম্যুনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ শামীমা সুরাইয়া বেগম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ও প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবু উবাইদ মুহম্মদ মুহসিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডাঃ ওয়াহিদা হাসিন। এসময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় কুমার সাহা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বসুন্ধরা আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোঃ নুরল আলম, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন, ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ পারভীন খাতুন, স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ রুমানা শেখ, এনাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ওমর ফারক ও ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ সাজিয়া আফরোজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ও প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবু উবাইদ মুহম্মদ মুহসিন বলেন, বাংলাদেশে সাদাপাতা, গুল, খৈনী, জর্দা, প্রভৃতি তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমলেও সিগারেটের ব্যবহার কমেনি বরং বেড়েছ। সারাবিশ্বে গড়ে ৩১% পুরষ মানুষ ধুমপান করলেও বাংলাদেশে পুরষদের ধুমপানের মাত্রা ৩৭% যা অত্যাšত আশঙ্কাজনক।
বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের এই তারতম্যকে তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে শুল্কারোপকে দায়ী করা হয়েছে যা মূলত নিম্নবিত্ত মানুষকেই আঘাত করে। এখন এটা মনে করা হচ্ছে যে, ২০০৫ সালের ধূমপান বিরোধী আইন ও তৎপরবর্তী সংশোধিত ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন থেকে আমাদের এখনও অনেক কিছু পাওয়া বাকী।