সুকান্ত সরকার : গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উনিশ জন শিক্ষার্থী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপে ভূষীত হয়েছেন।
প্রতিবছর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে “জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ” প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এমএসসি অধ্যায়নরত খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান এই তিনটি গ্রুপে শিক্ষার্থীদের এবং এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের এই ফেলোশিপে ভূষীত করা হয়।
বশেমুরবিপ্রবির মেধাবী উনিশ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীববিজ্ঞান (এমএসসি) গ্রুপের শিক্ষার্থীরা হলেন মো. রইস খান, সজল বিশ্বাস, শেখ হাসিবুর রহমান, রাশিদুল ইসলাম ও সুব্রত সরকার।
ভৌতবিজ্ঞান (এমএসসি) বিভাগে ফেলোশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শেখ ইয়াসির আরাফাত, রিতা রানি বিশ্বাস, প্রিয়ংকা বসু, মো. সুমন মিয়া, শামিম হাসান, শশি প্রাসাদ শীল, রূপালী সরকার, মো. হাসিবুল হাসান, মো. আরিফুল ইসলাম, শিশির সানা, মো. আজমল হোসাইন, শিলা খাতুন, মোসা. সনিয়া আক্তার ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
গত চৌঠা ফেব্রুয়ারী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ফেলোশিপের আওতায় পূর্বে উল্লেখিত তিনটি গ্রুপের (এমএসসি) ১৬৫৮ জন শিক্ষার্থীকে জন প্রতি ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষকদের ৬৮ হাজার টাকা এবং পিএইচডি গবেষকদের তিন লক্ষ টাকা করে মোট নয় কোটি ছেচল্লিশ লক্ষ পাঁচ হাজার ছয়শত টাকা প্রদানের সরকারি মঞ্জুরী প্রদান করা হয়।
গবেষণার সম্প্রসারণ ও এর ব্যাবহারিক প্রয়োগে এই ফেলোশিপ প্রদান সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ। তবে এই ফেলোশিপের বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করে গবেষকগণের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের গবেষণায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণও একান্ত প্রয়োজন।