পুরান ঢাকার বংশাল থানা র কমিটি কিছু দিন অাগে গঠিত হয়েছে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য। নতুন এই কমিটিতে
সভাপতি-তাইজুল ইসলাম তাইজু, সাধারণ সম্পাদক-মামুন আহম্মেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক-হাজী মো. আদিল সহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠিত হয়।
সভাপতিকে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম করার কথা থাকলে ও কারাগারে থাকায় তাকে দিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। সাধারণ সম্পাদক ও রয়েছে গ্রেপ্তারের অাতঙ্কে।
এতে করে দিনের পর দিন সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে রহমত নামের বংশাল থানার বিএনপির এক নেতার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি
জানান,দলের এই বিপদের দিনে সভাপতির থাকা দরকার ছিলো।কিন্তু সে কারাগারে।সাধারণ সম্পাদক ও রয়েছে গ্রেপ্তারের অাতঙ্কে। একমাত্র সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো.অাদিল দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা হলেও পালন করছে।
এটা শুধু অামার কথা না,পুরো এলাকায় ঘুরে বিএনপির যে কোন নেতাকর্মীর কাছে জানতে চাইলে তারা অামার মতো একই কথা বলবে।তার বড় কারন ৩৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হয়ে এখন এই থানার কমিটিতে এসেছেন তিনি।
সাংগঠনিক কার্যক্রমের সম্পর্কে জানতে চাইলে হাজী মো.অাদিল নিউজ ঢাকা ২৪ কে জানান,প্রতিনিয়ত দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।সভাপতি কারাগারে ও সাধারণ সম্পাদক রয়েছে গ্রেপ্তারের অাতঙ্কে।
তারপর ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম করে যাচ্ছি। তবে বিগত দিনে দলের উচ্চ পর্যায়ে নেতারে জানেন
সবসময় রাজপথে দলের যে কোন মিটিং মিছিলে অামরা সব সময় বেশি লোকজন নিয়ে প্রোগ্রামে করেছি।
তবে অাগের মতো করে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছি না মামলার জন্য।অামার নিজের নামে কমপক্ষে ৩৫-৪০ টি মামলা রয়েছে থানায়।নিজেও যে কোন সময় গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারি।
এছাড়া কর্মীদের নিয়ে ঠিক মতো বসে মিটিং ও করতে পারছি না অাগের মতো।অার যার ফলে পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাজ এখনো শেষ করতে পারি নাই।
খুব শীঘ্রই কমিটির কাজসহ দলের সব রকম সাংগঠনিক কার্যক্রম নেতাকর্মীদের নিয়ে করতে পারবো বলে অামি অাশাবাদী।
এস এম স্বাধীন,নিউজ ঢাকা।