দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকার একটি আবাসিক প্রকল্পের ভেতর থেকে ইউনুছ হাওলাদার (৭০) নামের এক বৃদ্ধার ছুরিকাহত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়েছে পুলিশ। নিহত বৃদ্ধা একজন পুরান ঢাকার
নবাবপুর এলাকার ব্যবসায়ী। সেখনে তার পাউয়ার পাম্পের ব্যবসা রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার রাকুদিয়া এলাকায়। তার পিতার নাম মৃত ইব্রাহিম হাওলাদার। সে বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাজধানীর শ্যামপুর থানার ৭৫/১ পশ্চিম ধোলাইপার ডিএমপি ঢাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের বড় ছেলে মোঃ ঈগলু হাওলাদার জানান, তার পিতা একজন পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার ব্যবসায়ী। সেখনে তার পাউয়ার পাম্পের ব্যবসা রয়েছে। সে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ১০টার ফিরে আসেন। এর কিছুক্ষন পর কয়েকটি কাগজপত্র নিয়ে ফের বের হয়ে যায়। রাত ১১টার পর তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তখন থেকেই সে নিখোঁজ থাকে। সোমবার সন্ধ্যায় লোকমুখে জানতে পারি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে একটি অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধার লাশ এসেছে। এ খবর পেয়ে আমিসহ আমার স্বজনরা সেখানে গিয়ে আমার বাবা লাশ সনাক্ত করি। এর আগে সোমবার সকালে রাজধানীর শ্যামপুর থানায় আমার মা মারুফা আক্তার বাদী হয়ে একটি নিখোঁজ সাধারন ডায়রী করেন।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আনোয়ারুল করিম জানান, গতকাল সোমবার সকালে লোকমুখে খবর পাই হাসনাবাদ এলাকার একটি আবাসিক প্রকল্পের ভেতর একটি অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধ লোকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে সেখানে আমি সঙ্গীয় এসআই গোলাম মোস্তফাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। এরপর সন্ধ্যায় লাশের স্বজনরা মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে জানান তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার বাড়ি ডিএমডির ধোলাইপার এলাকায়। সে রবিবার রাত থেকে নিখোঁজছিল। নিহতের গলায়, ঘাড়ে ও বুকের ডান পাশে পাঁচটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু শ্যামপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী হয়েছে সেহেতু নিহতের স্বজনরা থানায় আসার পর ঘটনা জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন জায়গায় মামলা হবে।