কেরানীগঞ্জে পারিবারিক কলহ এর জেড়ে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া ইউনিয়নের তালেপুর গ্রামের নিহতের নিজ বাড়িতে। নিহতের নাম মোঃ কায়কোবাদ (৫৫)। তার পিতার নাম মৃতঃ আব্বাস উদ্দিন। পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।পুলিশ নিহতের ছোট ভাই শেখ শাদীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের মেঝে ভাই মোঃ ডালিম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় পরিবারের কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলায় নিহতের পরিবারের বরাদ দিয়ে কলাতিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম জানান, ” নিহত কায়কোবাদ একজন ব্যবসায়ী। আর ছোট ভাই শেখ শাদী দীর্ঘদিন জাপানে প্রবাস করে কিকছুদিন পূর্বে দেশে ফিরে এসেছে । বিদেশে থাকার কারনে এখনো সে বিয়ে করেন নাই(অবিবাহিত)। তাদের বাবার একটি সম্পত্তি ছিল পুরান ঢাকায়। সে সেম্পত্তি বিক্রি করে বড় ভাই গ্রামের বাড়ি তালেপুরে দ্বিতল ভবন তৈরী করে। গতকাল সকালে ছোট ভাই শেখ শাদী বড় ভাই কায়কোবাদের কাছে তার বাবার সম্পত্তির ভাগ চান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ বাধে, বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে বড় ভাই মাটিতে লুটের পড়লে তার স্ত্রী-সন্তানরা ডাকচিৎকার করতে থাকে। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মুমুর্ষ অবস্থায় কায়কোবাদকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এরপর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আচরের দাগ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ঘটনার সময় স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন, তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলেই বলা যাবে মৃত্যুর রহস্য।”
এ ঘটনায় নিহতের মেজ ভাই মোঃ ডালিম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ছোট ভাইকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ বুধবার সকালেই বাড়ি থেকে ছোট ভাই শেখ শাদীকে গ্রেপ্তার করেছে।