নিউজ ঢাকা 24 সত্য প্রকাশে সাহসী
দক্ষিন কেরানীগঞ্জে ব্যাবসায়ী হত্যাকান্ডের ১০মাস পর মূল রহস্য উদঘটিত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গেপ্তারকৃতরা হলো নিহতের স্ত্রী মোসাঃ শিউলী আক্তার ওরফে বিউটি আক্তার(২৫) ও তার পরক্রিয়া প্রেমিক মোঃ সাব্বির হোসেন(২৫)। রবিবার দুপুরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, গত ৪জুন গভীর রাতে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নিজ বাড়ির একটি কক্ষে ব্যবসায়ী মোঃ সাদ্দাম হোসেন এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু স্ত্রী শিউলী আক্তার কৌশলে এই হত্যাকান্ডটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে এলাকায় প্রচার করে। পরের দিন নিহত সাদ্দাম হোসেনের সৎ ভাই মোঃ লিটন মিয়া(৫০) এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
এরপর বাদী দেশের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি এলাকায় চলে যায়। ময়না তদন্তের রিপোর্টে সাদ্দাম হোসেনের হত্যার প্রমান পাওয়া গেলে পুলিশ নিহতের ভাই মোঃ লিটন মিয়াকে দেশের বাড়ি থেকে আসতে বলে। প্র্রতি উত্তরে লিটন মিয়া আর ঢাকা আসবে না এবং মামলা মোকদ্দমা আর করবে না বলে জানান। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এরপর পুলিশ গত শুক্রবার রাতে শূভাঢ্যা ইউনিয়নের পারগেন্ডাারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত সাদ্দামের স্ত্রী শিউলী ও তার পরকীয় প্রেমিক সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালতে তারা বক্তব্য দেন ঘটনার দিন নিহতের স্ত্রী শিউলী আক্তারকে পরকীয়া প্রেমিক মোঃ সাব্বির হোসেনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় সাদ্দাম। এসময় সাদ্দম হোসেন স্ত্রীর প্রেমিক সাব্বির হোসেনকে মারতে গেলে স্ত্রী শিউলী আক্তার ও প্রেমিক সাব্বির হোসেন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারা আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়। নিহত সাদ্দাম হোসেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। সে দুই সন্তানের জনক। তার বাবার নাম মোঃ সুলতান মিয়া । গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার ষোলাপাড়া গ্রামে।
এ.এইচ.এম সাগর।
