নিখোঁজের একদিন পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের একদিন পর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার। নিহত ছাত্রের নাম মোঃ আরিফুল ইসলাম (২২)। তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার মারুফা এলাকায়।

তার পিতার নাম মো: মাইনুদ্দিন। সে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ইস্পাহানী আবাসিক এলাকায় ১নং রোডের জনৈক হাবিবুর রহমানের ৬ষ্ঠ তলার একটি মেসে ব্যাচালার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাখার অর্নাসের চতুর্থ বর্ষে পড়ালেখা করতেন।

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ এস আই মোঃ ইয়াকুব আলী জানান, সোমবার সকালে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আগানগর ইস্পাহানীর ঘাট থেকে খেয়া নৌকাযোগে বুড়িগঙ্গা নদী পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় আরিফুল। এরপর ওইদিন বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীতে খেয়া নৌকা চালানোর সময় একজন মাঝি একটি স্কুল ব্যাগ ভাসমান অবস্থায় খুজে পায়।

সে (মাঝি) ব্যাগটি তুলে ভিতর থেকে একটি মোবাইল ফোন ও পরিচয়পত্র পেয়ে থানা পুলিশের কাছে জমা দেয়। এরপর থানা পুলিশ ব্যাগের ভিতরে থাকা আইডি কার্ড থেকে নাম ঠিকানা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আরিফুলের স্বজনদের খবর দেন। (আজ) গতকাল মঙ্গলবার সকালে আরিফুলের স্বজনরা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়। পরে তার বড় ভাই মোঃ রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন।

এরপর আমরা তার স্বজনদের সাথে নিয়ে ওই নৌকার মাঝি এবং ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সাহায্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে লাশ খুজতে থাকি। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লালকুঠি ঘাট এলাকা থেকেছাত্রের লাশ উদ্ধার  করা হয়। আমরা নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেকল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ কামাল হাওলাদার জানান, নিহত যুবকটি সাতার জানতেন না। ধারনা করা হচ্ছে নদী পথে পারাপারের সময় যে কোনভাবে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হতে পারে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: নোকিয়া ফোন কেমেরা

Check Also

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে …