সজিবুল ইসলাম হৃদয়, নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে হাইকোর্টের নির্দেশে ধানের শীষ প্রতীক ফিরে পেয়েছেন সাবেক যুব ও ক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মিনী অধ্যক্ষ (অবঃ) কামরুন্নাহার শিরিন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম বিমলের প্রার্থিতা বাতিল করে কামরুন্নাহার শিরিনকে ধানের শীষ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের একটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জেড এ এম হাসান এ আদেশ দেন। ফলে আসনটি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরীন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে রিট দায়েরের পর দুপুরে সেটি নিষ্পত্তি করেন বিচারক জেড এ এম হাসান।
কামরুন্নাহার শিরীনকে ধানের শীষ প্রতীক ফিরিয়ে দেয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা একযোগে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার অঙ্গীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন এ আসনে বিএনপির প্রার্থী কামরুন্নাহার শিরিনের পরিবর্তে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম বিমলকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমন সিদ্ধান্তে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেসময় তারা লালপুর-ইশ্বরদী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঢাকা থেকে নাটোরে ছুটে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেন কামরুন্নাহার শিরীন।
আরো পড়ুন: বিএনপির মিছিলে হামলা।
ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ, সাভার,কামরাঙিচর) আসনের বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ব্যারিস্টার ইরফান আমান অমি অমির গাড়ী বহরে হামলা হয়েছে।
আজ ১৮/১২/২০১৮ রোজ সোমবার বেলা ১১ঃঃ৩০ দিকে ইরফান আমান অমি তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় জনসংযোগ চলাকালে এ হামলার শিকার হন। এসময় তাকে বহন করা গাড়ী সহ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর, ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের কবলে পড়ে বিএনপি কর্মী সমর্থকরা। হামলায় প্রায় অর্ধশত লোক আহত ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শুভ্র রাসেন সহ ১৫ জন আটক হন।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ সকালে সাভারের আমিনবাজারে ঢাকা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিষ্টার ইরফান আমানের পথসভা ও জনসংযোগ করার কথা ছিল। এরই অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা একত্রিত হয়ে আমিনবাজার এলাকায় জনসংযোগ শুরু করলে কিছুক্ষণ পর পিছন দিক থেকে আসা আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিল থেকে তাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও গুলি বর্ষণ করে