শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশের মানুষের কতটুকু ভাগ্যেও উন্নয়ন হয়েছে তার উপর নির্ভর করে দেশের জনগন ফের আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবে। দেশের মানুষ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এমনটাই দাবী করলেন খাদ্যমন্ত্রী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার আমলে সবচেয়ে বড় পাওনা হচ্ছে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান করা। তার হাত ধরেই সমুদ্র সীমানা বিজয় হয়েছে, তার হাত দিয়ে আজ দেশে দারিদ্রতার হার নিন্ম পর্যায়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সাধারন জনগনের কথা চিন্তা করে বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা,গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য মার্তৃ কালিন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা,কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, গরীব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করেন। শেখ হাসিনার আমলেই শ্রমীকদেও মুজুরী বুদ্ধি,দেশের রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি,কর্মসংস্থাপন বৃদ্ধি,বৈদেশিক মুদ্রা রিজাব বৃদ্ধি,মাতৃত্বকালিন ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা হাত ধরেই আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যবপক পরিবর্তন হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয়করন,বছরের প্রথম দিনে ৩৬ কোটি নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। যা উপমহা দেশের অন্য কোন আর দেশে নাই। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। বিশ্ববাসি আজ বাংলাদেশকে সাম্ভাবনার দেশ হিসাবে চিন্তা করে। আমাদের প্রীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বেও একজন নন্দীত নেত্রী। বিশ্বেও পাঁচজন সৎ নেত্রীর মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বিশ্বেও ১০জন রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে তার অবস্থান।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় রুহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গনে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন, সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রচার সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, কেরানীগঞ্জে আমি প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন করে আপনাদের মূল্যবান ভোটে এমপি নির্বাচিত হই। সে বছর প্রধানমন্ত্রী আমাকে আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। পরের বছর খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। আমি ১০ বছর আপনাদের জন্য সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আমি কেরানীগঞ্জের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিটি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার খেলার মাঠ বরাটসহ নতুন ভবন করে দিয়েছি।
আমার আগে এ এলাকায় বিএনপি এমপি ছিলেন আমান উল্লাহ আমান । তিনি সুধু ভিত্তি প্রস্তরের রাজনীতি করেছেন। আর আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরজমিন,হাতে ও কাগজে কলমে কাজ করেছি। কোন এলাকার এমপি সাহায্য ছাড়া কোন উন্নয়ন হয় না। আমার আমলে কেরানীগঞ্জে ইস্পাহানী বিশ্ববিদ্যালয় ও শাক্তা মডেল হাই স্কুলকে সরকারী করন করাসহ বিভিন্ন বিভাগে উন্নয়ন হয়েছে। আজ বিভিন্ন মানুষ সভা সেমিনার করে বিভিন্ন ভাবে কথা বলে সাধারন জনগনকে প্রতারিত করে। জাতীয় নির্বাচনে কোন ভুয়া কথা বলে লাভ নাই। প্রচার সভায় খাদ্য মন্ত্রী বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, আমি আশা করছি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের আমার এ রুহিতপুর এলাকায় নিরবিচ্ছিন গ্যাস সংযোগ দিবেন। আগামী নির্বাচনে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। দেশ আজ সকল বিভাগে এগিয়ে গেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আবারো দরকার শেখ হাসিনা সরকার। নির্বাচনকে কুলসিত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই তারা বিদেশীদেও কাছে ধন্যা দিচ্ছেন। তারা আগুন সন্ত্রাস করে শিশু, পুলিশসহ সাধারন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যা আজো অনেক মানুষ তার ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিরোধি পক্ষের শক্তিকে চিরতরে বিনাস করতে না পাড়লে বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে না।
ডা. কামাল হোসেন এর নেতৃত্বধীন জাতীয় ঐক্যকে আমি সাধুবাদ জানাই। তাদেও ঐক্যেও মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি রয়েছে। সেখানে যদি কুলঙ্গগার, খুনি বিএনপি-জামায়েত সাথে ঐক্য হয় তাহলে দেশ হবে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত। ৭১ সালে আমরা যেমন জাতীর পিতার ডাকে ঐক্য গঠন করেছিলাম এখন শেখ হাসিনার ডাকেও ঐক্য গঠন করে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে জয়লাভ করাতে হবে।
সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা ও ঢাকা-২ আসনের সমন্বয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা মাষ্টারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা যুবলীগ সভাপতি শফিউল আযম খান বারকু, ঢকা জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজি আবু সিদ্দিক,সাবেক রুহিতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ সলিমুল্লাহ মোল্লা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জি. এম এ হান্নান, কলাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাজাহান ভুইয়া, আলতাফ হোসেন বিপ্লব, হযরতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাজি মোঃ আলাউদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবলীগ নেতা মোঃ শাহাদত হোসেন, ইসতিয়াক আহমেদ রনি, মোঃ টিপু মেম্বার প্রমুখ।
এ.এইচ.এম. সাগর।