মানুষ যত সচেতন হবে দেশ ও সমাজ থেকে মাদকসহ সকল ব্যাধি সহজেই নির্মুল হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে বাস মালিক,চালক, হেল্পার, লঞ্চের চালক,মাষ্টার সারেং, কেরানীসহ সকল শ্রেনীর মানুষকে সচেতন হতে হবে। নৌ পুলিশের মাদক বিরোধী প্রচার অভিযান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজকে সচেতনা করছে।
এটা নৌ-পুলিশের একটি ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। আমাদের সমাজে এরকম আরেকটি ব্যাধি গঠন হয়েছিলো জঙ্গী। জঙ্গী কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। জঙ্গী কোন ধর্মীয় অনুশাসন নয়। জঙ্গী কোন ধর্মীয় ভাবে স্বীকৃত নয়। অথচ ধর্মীয় নাম করেই জঙ্গীর সৃষ্টি হয়েছিলো। এ জঙ্গী গোষ্ঠী বাংলাদেশের নিরীহ শ্রেনীর বিভিন্ন পেশার মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। এর মদদ দিয়েছিলেন বিএনপি-জামাত।
বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বড় বড় মাদকের ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে তাদের নিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে গেলে তাদের দোষরদের হামলায় নিহত হলে, নিহতদের নিয়ে বিএনপি মায়া কান্না শুরু করে। আপনাদের মায়া কান্নায় কোন লাভ নেই। গতকাল রবিবার বিকেলে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নৌ-পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত মাদক বিরোধী প্রচার অভিযান ও নৌ নিরাপত্তা সংক্রান্ত জনসচেতনতা বৃদ্ধি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যাদের মাধ্যমে পেট্টোল দিয়ে গাড়ি, ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে সাধারন মানুষকে হত্যা করেন তারা সবাই মাদক সেবন কারী। আপনারা যে সব মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারীর পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। আপনারা যে দলেরই হন না কেন বর্তমান সমাজ ও দেশের সাধারন জনগন প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আপনাদের প্রতিহত করবে। নৌ মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশের যুব সমাজকে ধ্বংশ করার জন্য বিদেশীদের একটি চক্রান্ত। যেই আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলছে সে সময়ই দেশের একটি গোষ্ঠি বিদেশীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশকে পিছনে ফেলার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করে মাদক এনে যুব সমাজকে ধ্বংশ করার খেলায় মেতে উঠেছে। যৌবন হলো জীবনের মধ্য মনি। যৌবনে যা করা সম্ভব তা সারা জীবনেও করা সম্ভব না। একজন যুবক যদি তার যৌবন ও চেতনা কাজে লাগাতে পাওে তাহলে সমাজ ও দেশ ভাল হবে। এ জন্য আমাদের সামাজিক ব্যাধি দুর করে একদিকে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে অপরদিকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ক্যান্সার হলে যেমন কেমোথ্যারাপি দিতে হয় না হলে অপারেশন করতে হয়। মাদক এখন আমাদের দেশে মাদক এখন ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। সরকার এই মাদকের বিরুদ্ধে এখন ক্যামোথেরাপি দিচ্ছে । পুলিশ বাহিনী সাপুরে হয়ে এবি মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করছে। কে মাদক খায়,কে মাদক বিক্রি করে পুলিশের কাছে রিপোর্ট আছে। তারা সবাই চিহ্নিত।
মন্ত্রী বলেন সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা নেওয়ায় বিএনপি আজ পুলিশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, স্ব-রাষ্টমন্ত্রী বিরুদ্ধে কথা বলে। আপনারা এই বলে জনগনকে যে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছেন। তাহলে আমরা বুজে নিবো কি আপনারা মাদককে চান। আপনারা যতই মায়া কান্না করেন না কেন আপনাদেও কোন লাভ হবে। এ দেশ থেকে সরকার মাদক নিমূল করবেই। দেশের যুব সমাজসহ সকর শ্রেনীর মানুষ রক্ষা করবো এইট বর্তমান সরকারের অঙ্গিকার।
বাংলাদেশ নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান বিপিএম পিপিএম এর সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডাবলিউটিএর পরিচালক কমরেড এম মোজাম্মেল হোসেন,বিআইডাবলিইএর যুগ্ম পরিচালক নুরুল ইসলাম, লালবাগ জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান.নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ আবুল মুনসুর,জাতীয় ঘাট শ্রমীকলীগ সদরঘাটের ওমর ফারুক, নিউ ভিশন এর পরিচালক শিপু আহমেদ, লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষে মামুনুর রশীদ, এফ বিসিসিআই পরিচালক মোঃ নিজামউদ্দিন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের এস এস পি ফরিদা পারভীন, পরিদর্শক মোঃ রাজ্জাক প্রমুখ।