তরল ডায়মন্ড নাম শুণে বিচলিত হবার কিছু নেই। উচ্চ মূল্যের কারনে সাপের বিষকে তরল ডায়মন্ড বলা হয়। এর কারন হচ্ছে এক গ্রাম সোনার বর্তমান বাজারদর পাচ হাজার টাকার মতো, কিন্তু আন্তজার্তিক বাজারে আমাদের দেশীয় সাপ থেকে প্রক্রিয়াজাত করা এক গ্রাম বিষের দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা।
আমাদের দেশে প্রায় ১৬টির বেশি প্রজাতির বিষধর সাপ আছে, এদের বিষ অত্যন্ত মূল্যবান। সংশ্লিষ্ট সুত্র মোতাবেক এ তখ্য জানা গেছে।
সাপের বিষ কেন এতো দামি এ প্রশ্ন সবার মনে আসতেই পারে। সাধারনত সাপের বিষ দিয়ে মানুষের জন্য মূল্যবান দুটি রোগের ঔষধ তৈরি করা হচ্ছে। ১) সাপে কাটা রোগীর ঔষধ হিসাবে ২) ক্যান্সার ও হার্ট এর রোগ এর ঔষধ হিসাবে।
বাংলাদেশে ১৬টির অধিক প্রজাতির বিষধর সাপ আছে, যাদের বিষ অত্যন্ত মূল্যবান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব প্রতি বছর প্রায় কম বেশি ১৫ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে অসুস্থ হয় এবং দেড় লাখ মানুষ মারা যায়। সাপে কাটা রোগীদের জন্য তৈরি ঔষধ এন্টিভেনম খুব দামী। এক একটি এন্টিভেনমের দাম প্রায় ১৫০০ ডলারের মতো। বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ দেশ সাপের কামড়ের এ ঔষধ তৈরি করে না । বাহির থেকে আমদানী করে।
সাপের বিষের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন সাপের বিষের ব্যবসা অত্যন্ত লাভ জনক। তবে দেশে বৈধ উপায়ে সাপের খামারের অনুমতি না খাকায় বৈধ উপায়ে বিস রফতানির সুযোগ ও নেই। এ কারনে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার বিষ দেশের বাহিরে পাচার হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশে সাপের খামার দিয়ে সফল হয়েছে। কিন্তু তাদের চেয়ে বাংলাদেশে উন্নত পরিবেশ থাকা সত্বেও সাপের অনুমতি দিচ্ছে না সরকার।
যে খানে আমাদের দেশে সাপের বিষ,চামড়া ও মাংসের মান বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে উন্নত। এ বিষয়ে সরকার সুদৃষ্টি দিলে হাজার হাজর কোটি টাকার বৈদিশিক মুদ্রা অর্জণ সম্ভব।