রাজধানীর ঢাকার কেরানীগঞ্জ গুদারাঘাট আঞ্চলিক শাখা সেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়টি দীর্ঘ ১১ বছর খোলামেলা। অথচ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অফিসে এসির আর বিলাসিতার কারখানা ।
এই কার্যালয় থেকেই দলের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় । এবং বিভিন্ন নেতাকর্মীদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
২০১৩ সালে যখন সারাদেশে একযোগে বিএনপি জামাতের পেট্রলবোমার হামলার শিকার নিরীহ মানুষ, তখন এ কার্যালয়ের অনেকেই পেট্রল বোমা হামলায় আহত হয়েছেন । আখের রস বিক্রিতা মোহাম্মদ শাহাদাত , ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো: জহিরুল ইসলাম জহির, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস, মান্নান মাদবর, সেন্টু খাঁন সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
২০০১ সালে কেরানীগঞ্জে থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জনসভায় পল্টনে যাওয়ার পথে নয়াবাজার বিএনপি’র ক্লাবের সামনে বোমাহামলা ও গুলি শিকার হন বর্তমান কেরানীগঞ্জ থানার কৃষকলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ হারুন-অর-রশিদ । ১৭ বছরেও কোন ধরনের সহযোগিতা পাইনি এই ত্যাগী নেতা ।
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি জহির বলেন দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথে এখনো আছি । হাইব্রীড নেতাকর্মীদের কারণেই আজ দলের অনেক বদনাম হচ্ছে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা দল থেকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক হিসেবে বেঁচে থাকব।
কেরানীগঞ্জে আঞ্চলিক শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মানিক বলেন, আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক, শুধু দলকে ভালোবেসে গিয়েছি বিনিময়ে কিছুই পাইনি।
ইসমাইল হোসেন টিটু।
আরো পড়ুন,কেরানীগঞ্জে বিপুল পরিমান জিহাদী বই সহ গ্রেপ্তার ৬ জঙ্গী