দেশে চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের আইনের আশ্রয় প্রার্থনা করাসহ দুটি নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ । মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
যৌথবাহিনীর অভিযানের মধ্যেই মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে আগামী ৬০ দিন সেনাবাহিনীর কাছে বিচারিক ক্ষমতা থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পরই সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিলো আওয়ামী লীগ।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আমরা সারা দেশ থেকে খবর পেয়েছি বেশিরভাগ থানাতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করতে দেওয়া হয়নি। যেহেতু সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি দেওয়া হয়েছে, তাই এই অপরাধীদের থামাতে এখন সেনাবাহিনীর কাছেই অভিযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই।’
নির্দেশনায় বলা হয়, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ও তাদের পরিবারের প্রতি জরুরি নির্দেশনা; আপনি বা আপনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিবরণ লিখে ১. থানায় অভিযোগ দিন, ২. অভিযোগ না নিতে চাইলে সাধারণ ডায়েরি করুন।
এতে আরো বলা হয়, যদি সাধারণ ডায়েরিও করতে না দেয়—আমরা জাতিসংঘের তদন্ত টিমের কাছে দলীয়ভাবে অভিযোগ দেব। এ ছাড়া সব ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়, দলটির নেতাকর্মীদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের খবর এসেছে।