একটা সময় কেরানীগঞ্জ ছিল রাজধানী ঢাকার পাশে সবচেয়ে অবহেলিত জনপদ। খুন, চাদাবাজি, ডাকাতিসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে এই জনপদে না ঘটত। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কেরানীগঞ্জের চিত্রও পরিবর্তীত হয়েছে। ১০ বছর আগের কেরানীগঞ্জ আর এখনকার কেরানীগঞ্জের পার্থক্য অনেক। দিন দিন কেরানীগঞ্জ একটি আধুনিক শহরে রুপ নিচ্ছে। বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ২০০৮ সালে কেরানীগঞ্জ থেকে এমপি নির্বাচিত হবার পরে কেরানীগঞ্জের চেহারা বদলে দিয়েছেন। আধুনিক ও উন্নত কেরানীগঞ্জ তৈরীতে বেশ কিছু মুখ বিপু ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। ম ই মামুন তাদের মধ্যে একজন।
কেরানীগঞ্জের নানাবিধ সামাজিক সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন ম ই মামুন। মূলত বিভিন্ন সামাজিক কাজে তরুণদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং তরুণদের সমাজের উন্নয়নে কাজে লাগানোই তার অন্যতম লক্ষ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রনেতা কেরানীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একমাত্র পত্রিকা পাক্ষিক বুড়িগঙ্গার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও কেরানীগঞ্জের শিক্ষিত মেধাবী তরুণদের একত্রিত করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন কেরানীগঞ্জ গ্রাজুয়েট সোসাইটি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। মাত্র অল্প কিছুদিনে সংগঠনটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কেরানীগঞ্জবাসীর মধ্যে। নানাবিধ সামাজিক কাজের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ঈর্ষনীয় সাফল্য লাভ করেছে সংগঠনটি।
তরুণদের মন জয় করে তরুণদের পাশে নিয়ে কেরানীগঞ্জের সামাজিক উন্নয়নে ম ই মামুন এগিয়ে চলেছেন নির্বিঘ্নে। কেরানীগঞ্জের তরুণদের সাথে নিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, দারিদ্র সেবা সহ সামাজিক নানান কর্মকান্ডের মাধ্যমে এলাকায় পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছেন তরুণ এই সংগঠক।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো ম ই মামুনের ডাকে যে কোন সামাজিক কাজে এলাকার তরুণরা সহ স্বত:স্ফুর্ত ভাবে সাড়া দেয় শিক্ষক, সাংবাদিক,রাজনীতিবিদ সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।
ঈদ পুজো সহ বছরের প্রায় বিশেষ দিনগুলোতে তরুণদের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত রাখতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেখা যায় তাকে।
কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এমন কয়েকজন সংগঠকের সাথে কথা বললে তারা জানান, ম ই মামুন অল্প সময়ে কেরানীগঞ্জে তরুণদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার পরিকল্পনাগুলো একটু ব্যাতিক্রম ধরনের হয়ে থাকে। তিনি সব জায়গাতে তরুণদের মূল্যায়ন করেন। আর সফলতা গুলো সব সময় তরুণদের হাত ধরেই আসে।
কেরানীগঞ্জের সামাজিক সমস্যা ,সমাধান এবং আগামী কেরানীগঞ্জ নিয়ে ম ই মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাদক সমস্যা বর্তমানে তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ একটি সমস্যা। কেরানীগঞ্জের তরুণ সমাজ যেন মাদক থেকে দূরে থাকে তার জন্য সচেতন সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেণ তিনি। এছাড়া বাল্য বিবাহ, যৌতুক, সন্ত্রাস সহ নানান ধরনের সামাজিক অনাচার রোধে সর্বদাই তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন ,তরুণরাই পারবে কেরানীগঞ্জের সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে এবং একটি সুন্দর ও আধুনিক কেরানীগঞ্জের নেতৃত্ব দিতে।
আরো পড়ুন: নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে কেরানীগঞ্জ