চলতি বছরে ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল দেশ। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৬০ জন।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৫ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৭৫ জন রোগী।
হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৯, ঢাকা উত্তরে ১৯৫, ঢাকা দক্ষিণে ১৮১ ও খুলনা বিভাগে ৫৩ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২, সিলেট বিভাগে ৬ ও রংপুর বিভাগে ১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৫২ শতাংশ নারী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮ হাজার ৫৬৫ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরোও পড়ুনঃ সম্পদ অর্জন করতে চাইলে রাজনীতিতে আসার দরকার নাইঃ গয়েশ্বর