টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটন শিল্প হয়ে উঠতে পারে অন্যতম হাতিয়ার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেছেন পর্যটন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল, অতি বৈচিত্র্যময় এবং শ্রমঘন একটি শিল্প, যা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় পর্যটন শিল্পের সংযোজন শুধু আর্থিক সফলতা বয়ে আনবে না সেই সঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে এর সুফল ছড়িয়ে দেবে স্থানীয়দের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠতে পারে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে।

শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর কনফারেন্স রুমে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ডিপার্টমেন্ট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মার্কেটিং ডিসিপ্লিন এর যৌথ আয়োজনে “টেকসই স্মার্ট পর্যটন গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত” শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এর সভাপতিত্বে এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ডিপার্টমেন্ট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রবিউল কবির এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান। আলোচনা অনুষ্ঠানটিতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাভেদ আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ডিপার্টমেন্ট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান সামিনা হক এবং সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মাহমুদা পারভীন।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এডভেঞ্চার ট্যুরিজম একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ, ট্যুরিজম বিহেভিয়ার এর জায়গায় কাজ করতে হবে। পাবলিক ও প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর মাধ্যমে একটি টেকসই টুরিজম নিশ্চিত করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ রক্ষা পায় এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য (ইকোলজিক্যাল ব্যালান্স) ও মানুষের আর্থসামাজিক সাম্য বজায় থাকে তাই টেকসই উন্নয়ন। বাংলাদেশে পর্যটনের যাত্রা অনেক আগে শুরু হলেও নানা প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আজকে আশার আলো ছড়াচ্ছে। অপার সম্ভাবনাময় আমাদের এই বাংলাদেশ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার একটি আদর্শ পর্যটন এলাকা, যা শুধু অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করবে না, পাশাপাশি বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমর্যাদাকে তুলে ধরবে।

Check Also

অর্থ উপদেষ্টা

পাচার অর্থ ফেরাতে আইএমএফের সহায়তা চাইলেনঃ অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংকসহ আর্থিক খাত সংস্কার এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে …