জাবিতে “সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ” এর উদ্যোগে বিশ্ব পানি দিবস উৎযাপন

মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ,(জাবি প্রতিনিধি): ২২ শে মার্চ (শুক্রবার) বিশ্ব পানি দিবস উৎযাপন করল “সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ” জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল স্তরের স্বেচ্ছাসেবী পবিরেশ যোদ্ধারা।

বিশ্ববিদ্যালয় এর নতুন কলা ভবনের ২য় তলায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সম্মানিত প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হেল কাফি এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর গর্ব প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক ড.কবীরুল বাশার,যিনি বিশ্বে বাংলাদশের প্রতিনিধি হিসেবে বহুবার দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ জাবি শাখার পক্ষ থেকে প্রধান আলোচককে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তৌফিক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আজিম সৈকত।
আলোচনার সভায় আরও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার
সহ-সভাপতি সৈয়দ সিফাত,সহ-সভাপতি সানজিদা নাহার সহ সকল স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
সভার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অগ্রদ্বীপ ঘোষ এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সহ-সভাপতি সামিন ইয়াসির সাফিন।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড.কবিরুল বাশার পানি দিবসের অনুষ্ঠানে তার ব্যক্তিগত জীবনের গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশদ আলোচনা করেন। আবহাওয়া ও জলবায়ু, পরিবেশ-প্রকৃতি নিয়ে তার আলোচনার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করে দেন পানির অপর নাম জীবন। তিনি তার বাস্তব জীবনে অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ।
তার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনার দেশ বলে আখ্যায়িত করেন এই গবেষক। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তৌফিক আহমেদ বলেন,
পৃথিবীর শতকরা ৭০% পানি।যার মধ্যে মাত্র ২.৫০% ব্যবহার উপযোগী এর মধ্যে মাত্র ১% পানি সহজলভ্য।
তিনি আরও বলেন,বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হয়।

গত ৪০ বছরে ঢাকা শহরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে ৫৫ মিটার, যা আগামীতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।এছাড়া প্রতিদিন আমরা দাঁত ব্রাশ করতে প্রায় ১২লিটার এবং গোসল করতে প্রায় ৯০ লিটার পানি খরচ করি অথচ বিশ্বের অনেক দেশ শুধুমাত্র এই মৃদু পানির অভাবে জীবনযাপন করছে।
পানির অপর নাম জীবন কিন্তু এই পানিই আবার মৃত্যুর কারণ যখন তা দূষিত হয়।শুধুমাত্র পরিষ্কার পানি ব্যবহার এর মাধ্যমে এবং পানির সুষ্ঠু ব্যবহার এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদ রেখে যেত পারি।

সবশেষে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,আসুন আমরা সচেতন হই এবং সমাজের সকল স্তরে পানির সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করি।

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,যৌন নিপীড়নের মামলা করতে গিয়েও পুলিশি হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী

Check Also

স্কাউটস বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়

কিশোরগঞ্জে স্কাউটস এর বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার অভিযান প্রশিক্ষণ

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ‘‘যথাযথ প্রস্তুতি, দুর্যোগে কমাবে ক্ষতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চলমান ৩য় জাতীয় দুর্যোগ …