জাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির আয়োজনে নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ,(জাবি প্রতিনিধি): ‘হাওরে ভাওরে ভাসে ভাটিয়ালি সুর, কিশোরগঞ্জের বন্ধুরা কে কত দূর’ এই স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির আয়োজনে ২০১৮-১৯ সেশনের নবীনদের (৪৮ তম আবর্তন) বরণ ও ২০১২-১৩ সেশনের (৪২ তম আবর্তন) বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনারে রুমে আজ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল বিকেল ৪:৩০ এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা নবীনদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক ড.মোঃ নূরুল আলম।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, (এম. পি. কিশোরগঞ্জ-৪), বিশেষ অতিথি হিসেবে মাহমুদ পারভেজ (মেয়র,কিশোরগঞ্জ পৌরসভা) ও বিপ্লব কুমার সরকার (উপ-পুলিশ কমিশনার, তেজগাঁও বিভাগ মেট্রোপলিটন পুলিশ) উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব কিশোরগঞ্জ এর সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে “রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক” ছাত্রদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়াটা সৌভাগ্যের ব্যাপার।সবার এ সুযোগ হয় না।তোমরা যারা এ সুযোগ পেয়েছো তারা এর যথাযথ সদ্ধ্যবহার করবে। যেন ভবিষ্যতে তোমরা নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারো। বিশেষ অতিথি ‘মাহমুদ পারভেজ’ নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় পরিসরে এসে নিজেকে ধরে রাখাটা কঠিন। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তোমরা তোমাদের নৈতিকতাকে ধরে রাখবে। এজন্য তিনি সবাইকে ধর্মীয় রীতিনীতি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার আহবান জানান। এছাড়া তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করেন।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দকে ফুল ও ব্যাজ দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৮৬০ সালে কিশোরগঞ্জ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে ১৩ টি উপজেলা নিয়ে জেলাটি ব্রহ্মপুত্রের নদের উপর দাঁড়িয়ে আছে। কিশোরগঞ্জ জেলা শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিবরেণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এ জেলায় রয়েছে কবি সাহিত্যিক থেকে শুরু করে দেশবরেণ্য শিল্পী, কলা-কুশলী। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত সত্যজিৎ রায়, কবি সুকুমার রায়সহ আরো অনেকেই আছেন যারা এই কিশোরগঞ্জেই বেড়ে উঠেছেন।

নিউজ ঢাকা

আরো পড়ুন,বুড়িগঙ্গা দখল রোধে বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান অব্যহত ; গুঁড়িয়ে দেয়া হলো এমপি আসলামের পাওয়ার প্লান্ট

Check Also

স্কাউটস বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়

কিশোরগঞ্জে স্কাউটস এর বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার অভিযান প্রশিক্ষণ

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ‘‘যথাযথ প্রস্তুতি, দুর্যোগে কমাবে ক্ষতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চলমান ৩য় জাতীয় দুর্যোগ …