নিউজ ডেস্ক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সোশিওলজি ক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫-১৬ জানুয়ারি৷ নির্বাচনে সভাপতি পদে এগিয়ে আছেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইশরাক হাসান।
ইশরাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি শুরু থেকে চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করার পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সকল কার্যক্রমে নিজেকে সংযুক্ত রাখার। সোশিওলজি ক্লাবের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত কালচারাল ক্লাবের সাবেক কো-কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল কালচারাল ক্লাবের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। এবং ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত সকল কালচারাল কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, সোশিওলজি ক্লাব নির্বাচনে জয়ী হলে আমি ক্লাবের বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই৷ এজন্য সবার সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইশরাক হাসান বিভিন্ন সামাজিক এবং পরিবেশ বাদী সংগঠনের সাথেও সম্পৃক্ত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিডিএফ সংগঠনের এ্যাডভোকেসি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। যে সংগঠনের কাজ হচ্ছে ফিজিক্যাল ডিজেবলড এবং পিছিয়ে সুবিধা-বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা। পাশাপাশি আমি গ্রীণ ভয়েস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনে করেন এই শিক্ষার্থী। গ্রীণ ভয়েস একটি পরিবেশ বাদী সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য গাছ লাগানো ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীণ ভয়েস সংগঠনটির শাখা চালু করতে কাজ করেছেন তিনি।
করোনা মহামারিতে হ্যালো ভাই ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কার্যক্রমে ফান্ড কালেক্ট এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করেনে ইশরাক৷ পাশাপাশি এবং ডিপার্টমেন্টেও আর্থিক ফান্ডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সহায়তা করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই ইশরাক ছাত্ররাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন৷ বর্তমানে তিনি জবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই শিক্ষার্থী।
মো. ইশরাক হাসান বলেন, দীর্ঘদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকা আমাদের সোশিওলজি ক্লাবকে একটি সুন্দর, যুগোপযোগী, গতিশীল, শিক্ষার্থী বান্ধব সংগঠন হিসেবে পরিচালনা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ইতিমধ্যেই ইশরাক ক্লাবের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন৷ যেগুলো সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই করবেন তিনি৷
কর্মপরিকল্পনাগুলো হচ্ছে– ১. সাত কার্য দিবসের মধ্যে সোশিওলজি ক্লাবের অধিনস্ত ক্লাবগুলোর কমিটি প্রণয়ন করার চেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই।
২. সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে একটি ফান্ড গঠন করার চেষ্টা।
৩. সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সুবিধা তৈরি করার জন্য শিক্ষকদের পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত ডিবেটিং সোসাইটি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মশালা, এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক কার্যক্রমে গুরুত্ব প্রদান । যাতে করে শিক্ষার্থীদের দক্ষ মনোবল এবং নেতৃত্ব প্রদানের ভিত্তি মজবুত হয়।
৫. বার্ষিক শিক্ষা-সফর, নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং সিনিয়রদের বিদায়ে ফেয়ারওয়েলের আয়োজনে শিক্ষকদের পরামর্শ ক্রমে কাজ করা।