ঢাকা ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীগয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপর হামলার ঘটনায় গত বুধবার রাতে তিন – চারশত অজ্ঞাত আসামী করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায়একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার পর পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃশাহজামান বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয়সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির দলীয়প্রার্থী বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার দলীয়
নেতাকর্মীসহ গত ২৫/১২/১৮ খ্রি: সন্ধ্যা অনুমান ৬.২০ ঘটিকার সময় শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি ব্রিজের নিকট নির্বাচনী প্রচারনার সময় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে বাবু গয়েশ্বর রায় সহ বিএনপির ২০-২৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়। উক্ত ঘটনার পর আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে হাসপাতালে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আহতদের দেখতে যাই এবং দুঃখ প্রকাশ করি।
তখন বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মিছিল মিটিং ও এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুতগ্রেপ্তারের আস্বস্ত করি।
এ ঘটনায় হৃদয় (২৮) নামের এক যুবক বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে তিন-চারশত অজ্ঞাতঅসামী করে থানায় একটি মামলা দায়েরকরেন। মামলার পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহপ্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সবুজ, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য মো: মামুন এবং দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগ সদস্য সিরাজুল ইসলাম ওরফে শরিফ হোসেন ফালান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে উক্ত তিনআসামি কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের যুগ্নআহবায়ক মো: কৌশিক আহমেদ জীবনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,মামলার বাদী হৃদয় নামক যুবক বিএনপির কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত না। সে অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েনিজ ইচ্ছায় মামলাটি করেন।
এ. এইচ.এম সাগর
নিউজ ঢাকা।।