জয়নাল আবেদীন,ববি প্রতিনিধি:সাংবাদিক সমিতি গঠনের নামে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার ( ১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে দশটায় ববি ক্যাম্পাসের সামনে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বক্তারা গুজব সৃষ্টিকারীদের আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিজ নিজ অবস্থান পরিস্কার করার আল্টিমেটাম দেন।
এর ব্যাত্যয় ঘটলে বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাবে বলে হুঁশিয়ারী দেন।
দৈনিক অধিকার পত্রিকার ববি প্রতিনিধি সুমাইয়া আখতার তারিন বলেন- “সমিতি গঠনের জন্য প্রশাসন থেকে যেখানে শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেখানে তাদেরকে অগ্রাহ্য করে কেউ নিজের ইচ্ছামত কমিটি করতে পারে না।
এক ব্যক্তির প্রচ্ছন্ন ইন্ধনে শিক্ষকদের নির্দেশনা গোপন রেখে মনগড়া নির্বাচনের আয়োজন করে কমিটি করা হয়েছে যেটা জানার পর আমি ওই ভূয়া কমিটি থেকে সরে এসেছি।
এরকম প্রহসনের কমিটি গঠন করার মানে সকল সাংবাদিকদের সাথে প্রতারণা করা। আশাকরি তারা তাদের ভুল অবস্থান থেকে সরে আসবে।”
দৈনিক সময়ের খবর পত্রিতার ববি প্রতিনিধি খাইরুল ইসলাম সোহাগ বলেন-
” বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় স্বার্থান্বেষী চক্র সাংবাদিক সমিতির নামকে প্রহসনের কমিটি করেছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা সাংবাদিকরা এক একজন কলম যোদ্ধা, আমরা ন্যায়ের পক্ষে কথা বলি, তাই এই সাংবাদিক সমিতি নিয়ে কোনো রকম অন্যায় মেনে নেয়া যাবে না। আমাদের বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রাজু আহমেদ বলেন -“সাংবাদিক সমিতির নামে ওঠা গুজব সম্পর্কে প্রশাসনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে পেয়েছি ।
পূজার বন্ধ শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর আমরা আরো ভালোভাবে জেনেছি যে কোন সাংবাদিক সমিতির বৈধতা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো দেয় নি। আমরা চাই ববিসাস এর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অবিলম্বে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবে এবং সবার অংশগ্রহন নিশ্চিত করে, নতুন এবং গ্রহণযোগ্য কমিটি প্রতিষ্ঠা করবে। ”
সাংবাদিক সমিতি নিয়ে এমন বিভ্রান্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সিনিয়র সাংবাদিক শফিক মুন্সি বলেন, ” সাংবাদিক সংগঠনের নামে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিভেদ কিংবা বিদ্বেষ চাই না।
সমিতি গঠনের জন্য প্রশাসন থেকে যখন দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে সেখানে কেউ নিজে নিজে সমিতি গঠন করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন বারবার বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সাংবাদিক সমিতির অস্তিত্ব নেই তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে বা যারা সাংবাদিকদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার ভূয়া খবর প্রকাশ করেছে তারা স্পষ্ট গুজবের আশ্রয় নিয়েছে। আমার বিশ্বাস বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে দ্রুতই তারা তাদের ভুল অবস্থান থেকে ফিরে আসবে।”
উল্লেখ্য,গত ৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি দ্বিতীয় তলায় কিছু স্বার্থন্বেষী মহল বৃহৎ সাংবাদিকবৃন্দকে বাদ রেখে নিজেরা নিজেরা পদ ভাগাভাগি ও নিজেরাই নির্বাচন কমিশন গঠন করে গুজব ববিসাস গঠন করে।
আরো পড়ুন,কেরানীগঞ্জে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা নিরূপণ, প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত