বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক অপর্ণা রায় আজ শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার র্যালিতে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন।
এসময় তিনি বলেন বিএনপি সবসময়ই হিন্দু সহ সকল ধর্মের মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও সকলের পাশে বিএনপি থাকবে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র যুব কল্যান ফ্রন্টের পক্ষে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত, ফ্রন্টের সভাপতি উত্তম সরকার, সহ সভাপতি সিমান্ত দাস, অনুপ হাজং,মিহির বিশ্বাস,সুজন রায়,পলাশ সাহা, অনিক সাহা অসীম পান্ডে প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়া এর মুক্তির জন্য এ সময় প্রার্থনা করা হয়।
আরো পড়ুন: হিজরাদের জন্য সরকারের
রাজধানীতে হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং সদাচারণ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হলো হিজড়া সম্প্রয়ায়ের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘সুন্দর বাজুক’।
শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রীনরোডের ‘বিন্দুধারী’তে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পী তাসনুভা আনান, লারা এবং জান্নাত। অনুষ্ঠানের আয়োজনে করে সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং রি-থিংক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে’ গানের সাথে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন তাসনুভা আনান এবং লারা। একক সঙ্গীত নিয়ে হাজির হন সঙ্গীত শিল্পী জান্নাত। এরপর ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’, ‘বিহুরে লগন মাধুরে লগণ’ সহ বিভিন্ন গানের সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন তাসনুভা আনান এবং লারা।
একক সঙ্গীতে তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পী জান্নাত পরিবেশন করেন ‘আমি কেমন করে পত্র লিখিরে বন্ধু’, ‘বনমালী গো তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা’, ‘ওকি গাড়িয়াল মুই চলং রাজপন্থে’সহ বিভিন্ন গান। অনুষ্ঠান শেষ হয় ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য দিয়ে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী নূরুল কবির, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের, মোস্তফা কামাল এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংগীতা ইমাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রি-থিংক এর পরিচালক লুলু-আল-মারজান।
আয়োজন শেষে গাজী নূরুল কবির বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং রি-থিংকের উদ্যোগে এই যে আয়োজন, তাতে আপনাদের সকলকে আমরা পাশে চাই। সকলে পাশে থাকলে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার এ মানুষদের উন্নয়ন করা আমাদের জন্য সহজ হবে।
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল বলেন, অসাধারণ একটা আয়োজন। সাধারণত এ ধরণের আয়োজন তো খুব কম হয়। তবে সমাজের সকলের সহযোগীতায় এ ধরনের আয়োজন আরো করা উচিত।
রি-থিংক এর পরিচালক লুলু-আল-মারজান বলেন, স্বাভাবিক-সামাজিক প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্য একটা ক্ষমতার রুদ্ধদ্বারে তারা আটকে যায়। আমাদের উদ্যোগ হচ্ছে তাদের যে ক্ষমতা, হিজড়াগিরি, সেখান থেকে তাদের থেকে বের করে এনে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা। ‘সুন্দর বাজুক’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সে ধরনের শৈল্পিকতায় আমরা এনে দিতে চাই সকলের মধ্যে।