বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তিন দিনের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৯ জুন (শনিবার) বিকেল তিনটায় নয়াপল্টন অফিসের সামনে সমাবেশ, ১ জুলাই সারাদেশের মহানগরী গুলোতে সমাবেশ, ৩ জুলাই সারাদেশের জেলা শহরের সমাবেশ।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুলাই সারা দেশের সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সারা দেশের জেলা সদরে একই দাবিতে সমাবেশ হবে।
এদিকে, রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যার দিকে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
সোমবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি আগের মতোই আছেন। রাতে ম্যাডামের অবস্থা যেমন ছিল এখনও তেমনটাই আছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে ভালো কিংবা খারাপ কোনোটিই হয়নি। অপরিবর্তিত আছে।
ডা. জাহিদ বলেন, গত ২১ জুন রাত সাড়ে ৩টায় খালেদা জিয়ার হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য।
ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।
আরো পড়ুনঃ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি সরকারের: প্রধানমন্ত্রী