দরজায় কাড়া নারছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মাত্র সপ্তাহ দুয়েক বাকি নির্বাচনের । সারা দেশ ব্যাপী সকল দলের প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত, কেরানীগঞ্জেও তার ব্যতিক্রম নয়। দিনভর ই প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা করতে দেখা যায়। এছাড়া রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুশির আমেজ বইছে কেরানীগঞ্জে।
ঢাকা ২ এর কিছু অংশ এবং ঢাকা ৩ নিয়ে গঠিত কেরানীগঞ্জের নির্বাচনী এলাকা। ঢাকা ২ এ আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড: কামরুল ইসলাম , বিএনপির প্রার্থী আমানপুত্র ব্যারিষ্টার ইবনে আমান অমি। বিএনপির ঘাটি বলে পরিচিত ঢাকা ২ সংসদীয় আসনটি গেল ১০ বছর ধরে আওয়ামীলীগের দখলে, আগামী নির্বাচনেও আসনটি পুনরায় ধরে রাখতে চায় আওয়ামীলীগ।
আসনটি নিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও। এ জন্য তিনি রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও করে গেছেন। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেয় নি। এ নিয়ে কামরুল শাহীন দ্বন্দ থাকলেও , দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে নির্বাচনকে সামনে রেখে এক হয়েছে দুজন। সবাই এটিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছে। এদিকে বিএনপি প্রার্থী আমান পুত্র ব্যারিষ্টার অমি রাজনীতিতে নতুন মুখ, আমান উল্লাহ আমানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদিন ই গনসংযোগ, জনসভা, প্রচার প্রচারনা করছে।
অনেক দিন ধরে স্তব্ধ ঢাকা ২ বিএনপি অমিকে পেয়ে উজ্জীবিত। প্রতিদিন তার গনসংযোগে প্রচুর লোক সমাগম অবাক করার মতোই। কামরুলের চেয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা ও জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে অমি। নির্বাচন নিয়ে ব্যারিষ্টার অমির সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বাবা যেমন ঢাকা ২ এর জনগনের জন্য কাজ করে গেছে আমিও জনগনের জন্য তেমনি কাজ করে যেতে চাই। নির্বাচিত হলে বাবার অসমাপ্ত কাজ গুলো সম্পন্ন করবো। নানা বাধা বিপত্ত হামলা মামলা থাকার পরেও আমার নির্বাচণী প্রচারনায় এতো মানুষের উপস্তিতি প্রমান করে আগামী নির্বাচনে ঢাকা ২ এ বিএনপির জয় ইন সা আল্লাহ নিশ্চিত।
অন্যদিকে ঢাকা ৩ আসনের চিত্র সম্পূর্ন বেতিক্রম। এখানে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হলেন বর্তমান সংসদের সফল বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এবং বিএনপির প্রার্থী হিসাবে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ঢাকা ২ আসনে বিএনপির ব্যাপক প্রচার প্রচারনা স্বত্তেও ঢাকা ৩ আসনে তেমন প্রচার প্রচারনা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেরানীগঞ্জ দক্ষিন বিএনপির এক নেতা জানান, গ্রেফতারের ভয়ে এবং আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের চাপে অনেকেই প্রচার প্রচারনায় নামছেন না। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে পরিস্তিতি বদলাতে পারে।
এদিকে এ আসনে প্রচার প্রচারনা ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে বর্তমান সাংসদ বিপু। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটা বাড়িতে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও উৎসব মুখর পরিবেশে বিপুর প্রচার প্রচারনা করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আগে কেরানীগঞ্জ ছিল ঢাকার পাশে এক অবহেলিত নগরী । আমি গেল ১০ বছরে কেরানীগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান সহ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সহ অনেক কাজ করেছি। বর্তমান সরকারের আমলে কেরানীগঞ্জে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তা এর আগে কোন সরকারের আমলে হয় নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগন পুনরায় আবার আমার উপর আস্থা রেখে পুনরায় নৌকায় ভোট দিবে।
এছাড়াও কেরানীগঞ্জে হাত পাখা মার্কার ও নির্বাচনী প্রচারনা লক্ষ করা গেছে।